অপুষ্টিজনিত কারণে যে রোগগুলি বাসা বাঁধে শরীরে, রক্তাল্পতা তার মধ্যে অন্যতম। ছবি: সংগৃহীত।
অপুষ্টিজনিত কারণে যে রোগগুলি বাসা বাঁধে শরীরে, রক্তাল্পতা তার মধ্যে অন্যতম। অপুষ্টি রক্তাল্পতার অন্যতম কারণ হলেও একমাত্র নয়। আয়রনের অভাবেও এই রোগ হয়। তা ছাড়া, শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষত থেকে হওয়া রক্তক্ষরণের কারণেও শরীরে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্তাল্পতায় ক্লান্তি বেড়ে যায়। শরীর দুর্বল লাগে। রক্তাল্পতার সমস্যায় পরিস্থিতি যদি খুব জটিল হয়ে যায়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। শারীরিক পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি রোজের খাদ্যাভ্যাসেও কিন্তু খানিক বদল আনা জরুরি। কোন খাবারগুলি রক্তে আয়রন এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে?
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে ফল খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
ফল
অনেক খাবারেই আয়রন থাকে। কিন্তু শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি না থাকলে সেই আয়রন শরীর ঠিক মতো শোষণ করতে পারে না। আম, লেবু, আপেল, পেয়ারায় রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি। এই ভিটামিন শরীরে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে বেদানাও খেতে পারেন। কারণ বেদানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।
শাকসব্জি
শাকসব্জি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি অনেক কমে। বিট হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। টোম্যাটো, কুমড়ো, ব্রোকোলি বা পালং শাকেও প্রচুর আয়রন থেকে। নিয়ম করে যদি এই সব্জিগুলি খেতে পারেন, তা হলে রক্তাল্পতার সমস্যা কমতে পারে।
ডার্ক চকোলেট
হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমানোর মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে ডার্ক চকোলেট। মিল্ক চকোলেট কিংবা শর্করার পরিমাণ বেশি, এমন চকোলেট বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডার্ক চকোলেটে সেই ঝুঁকি নেই। বরং এটি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মিটবে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে আয়রনে সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট বেশি করে খান।
ড্রাই ফ্রুটস
হিমোগ্লোবিন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে কিশমিশ, কাজু, খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুটস বেশি করে খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন। অ্যাপ্রিকটেও প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমাতে এইগুলি খেলে উপকার পাবেন।
সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছে আয়রন বেশি পরিমাণে থাকে। তবে এখানে সামুদ্রিক মাছ যে খুব বেশি পাওয়া যায়, তা নয়। চিংড়ি, পমফ্রেটের মতো কিছু সামুদ্রিক মাছে ভাল মাত্রায় আয়রন থাকে। যাঁরা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাঁরা এই মাছগুলি খেতে পারেন।