প্রতীকী ছবি।
জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হলেন এক সেনা জওয়ান। আজ কাশ্মীরের কোকেরনাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
সেনা সূত্রের খবর, দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগের ওয়াটনার এলাকায় জঙ্গিরা আত্মগোপন করে রয়েছে বলে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর এসেছিল। এর পরেই ওই এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করে সেনাবাহিনী। নিরাপত্তাবাহিনীকে এলাকা ঘিরে ফেলতে দেখেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। সেই সময়ে জঙ্গিদের গুলিতে একজন সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় যে কত জন জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলির লড়াই এখনও জারি রয়েছে। সম্ভবত দুই-তিন জন জঙ্গি এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে।
কাশ্মীরে গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে বারবার পঞ্চয়েতের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে। গত
কালই বারামুলায় একজন সরপঞ্চের উপর হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। গতকাল বিকেলে মঞ্জুর আহমেদ বাঙ্গরো নামে ওই গ্রামপ্রধানকে একেবারে সামনে থেকে গুলি চালায় জঙ্গিরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু পথেই প্রাণ হারান ওই সরপঞ্চ। শুধু এই ঘটনাই নয়, ছয় সপ্তাহের মধ্যে আরও তিনবার জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে কাশ্মীরের আরও তিন পঞ্চায়েত সদস্যের। কাশ্মীরে কাজ করতে আসা পরিযায়ী শ্রমিক ও উপত্যকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপরও হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা।
এই প্রেক্ষাপটেই উপত্যকায় হামলা রুখতে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী ও সেনা। আজই শ্রীনগর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে কোকেরনাগ এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে এলাকা ঘিরে ফেলে সেনা। দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মধ্যে আহত হন রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের এক জওয়ান। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় ওই সেনা জওয়ানের।