সপ্তাহান্তে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। প্রতীকী ছবি।
চলতি সপ্তাহেই তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর তার পরই তা ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। ‘মোকা’ তৈরি হলে তা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, এই নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই মৌসম ভবন জানিয়েছে, ‘মোকা’র জন্ম হলে তা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
গত শনিবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত সোমবারই নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যা পরবর্তী সময়ে আরও ঘনীভূত হয়ে মঙ্গলবারের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর তার পরই তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা ধারণ করতে পারে নিম্নচাপ। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ওই সময় ‘মোকা’র বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার।
মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, ১১ মে, বৃহস্পতিবার ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিমি। শুক্র এবং শনিবার ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ কিমি।
তবে ঘূর্ণিঝড় ঠিক কবে এবং কোথায় আছড়ে পড়বে, এই নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি মৌসম ভবন। আবহাওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি (মডেল) অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সপ্তাহান্তেই আছড়ে পড়তে পারে ঝড়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তার পর বৃহস্পতিবার উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিক বরাবর পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। এর পরই ‘মোকা’র পথ বদল হতে পারে। বাঁক নিয়ে তা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিক বরাবর বাংলাদেশ-মায়ানমার উপকূলের দিকে এগোতে পারে। শেষমেশ কি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ বা মায়ানমারে আঘাত হানবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
‘মোকা’র প্রভাবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আরও বৃষ্টি বাড়বে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার।
তবে পশ্চিমবঙ্গে কেমন প্রভাব পড়বে, তা এখনও জানা যায়নি। আপাতত রাজ্যে গরম বৃদ্ধি পাবে বলে সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে।