Sourced by the ABP
লক্ষ্য ২০২৬। তার আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়, বিশেষ করে বালুরঘাটে রেলের মাধ্যমে উন্নয়নে বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার যোগ দিচ্ছে বলে বিজেপি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে আরও দুটি নতুন ট্রেনের প্রস্তাব এবং নির্মাণ নিয়ে সমীক্ষাও সেরে গিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার।
রেলের টিকিট বিক্রির হার বিচার করলে বালুরঘাট স্টেশন এনএসজি ৩ শ্রেণির। অর্থাৎ বছরে কুড়ি কোটি থেকে ১০০ কোটির মধ্যে টিকিট বিক্রি হয়। রেলের বাণিজ্যিক ভাষায় তৃতীয় শ্রেণির নন–সাব আরবান ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। বিজেপির দাবি, এ রকম একটি প্রান্তিক স্টেশনে এত বিপুল পরিমাণ লগ্নি এত দিন আনার ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল অনেকেই। যা সুকান্ত করে দেখিয়েছেন বলেই দাবি করা হচ্ছে। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরে ঢুকেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘জেলা জুড়ে রেলের এলাকায় নানা উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। আরও নেওয়া হবে।’’
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রান্তিক বলে দূর-দূরান্ত থেকে, বিশেষ করে দিল্লি থেকে বিভিন্ন সামগ্রী আনার ক্ষেত্রে অসুবিধা ছিল। এখন তা কিছুটা কেটেছে দিল্লির উপর দিয়ে ভাতিন্দা এক্সপ্রেস বালুরঘাটে যাতায়াতের ফলে। দক্ষিণ দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ বাগচি বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত যা উন্নয়ন হয়েছে, তা আমরা সাধুবাদ জানাই। আমাদের দাবি, ভবিষ্যতে বালুরঘাটেও একটি রেক পয়েন্ট করা হোক।’’
বালুরঘাটকে রেল যোগাযোগের মধ্যে আনার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাও কোনও ভাবেই ‘ছোট’ নয় বলে তৃণমূল সূত্রের পাল্টা দাবি। দলের নেতারা দাবি করছেন, ওই সময়েই একলাখি–বালুরঘাট, বালুরঘাট হিলি যোগাযোগ প্রকল্প ছাড়াও বুনিয়াদপুরের রেল ওয়াগন কারখানা করারও প্রস্তাব ছিল, যা পরে বিজেপি ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে। জেলা তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘শিয়ালদহের ট্রেনের স্টপ উঠে গিয়েছে অনেকগুলি স্টেশন থেকে। বুনিয়াদপুরে রেল ওয়াগন কারখানা হয়নি। তখন রেল টাকা দিলে রেলের উন্নয়ন আজ জেলায় হতে পারত। জেলার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান বাড়ত।’’ বুনিয়াদপুরে রেল কারখানার বদলে অবশ্য একটি অডিটোরিয়াম করার প্রস্তাব রয়েছে।