Cyclone Dana in Odisha

পর্যটকশূন্য পুরী, তৈরি ২৮৮ উদ্ধারকারী দল, ওড়িশার কোথায় কোথায় তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’?

বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে আগাম প্রস্তুতি। ওড়িশায় বাতিল করা হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। পর্যটকশূন্য করে দেওয়া হয়েছে পুরী। রাজ্য জুড়ে মোতায়েন হয়েছে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৫২
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবারই। বুধবার জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝ়়ড় দানা। বৃহস্পতিবার তা আছড়ে পড়তে পারে ওড়িশা এবং বাংলার উপকূলে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটারে। বাংলা ছাড়াও ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুর জন্য সতর্কতা জারি হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে আগাম প্রস্তুতি। ওড়িশায় বাতিল করা হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। পর্যটকশূন্য করে দেওয়া হয়েছে পুরী। রাজ্য জুড়ে মোতায়েন হয়েছে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল। ঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে ওড়িশার কোন কোন জেলায়? কী বলছে হাওয়া অফিস?

Advertisement

মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ওড়িশার জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বরে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম প্রভাব পড়বে ময়ূরভঞ্জ, পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক, সম্বলপুরে। ‘দানা’ বাঁধার আগে থেকেই এর প্রভাবে শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ভিজতে পারে উপকূলীয় ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দাপাড়া, পুরী এবং জজপুর। ভিন্‌রাজ্য থেকে ঘুরতে যাওয়া পর্যটক ও পুণ্যার্থীরা ইতিমধ্যেই পুরী ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জগৎসিংহপুর, কেন্দাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ, কটক, ভদ্রক এবং বালাসোরে জারি হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ছয় জেলায় ছয় অভিজ্ঞ আইএএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন হয়েছে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল। ১৪ জেলায় আগামী তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বাতিল হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। রাজ্যের ৮০০টি দুর্যোগ আশ্রয়শিবিরের পাশাপাশি ৫০০টি অতিরিক্ত শিবির তৈরি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়টি সাগরদ্বীপ ও পুরীর মধ্যবর্তী কোথাও আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার আগে সতর্ক দুই রাজ্যের প্রশাসনই। পশ্চিমবঙ্গেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। সৈকত শহর পুরী মঙ্গলবারই পর্যটকশূন্য করা দেওয়া হচ্ছে। এ রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আগাম সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। সোমবার থেকেই প্রশাসনের তরফে মাইকিং শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, বকখালি-সহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে। তৈরি কন্ট্রোল রুমও। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশা ও বাংলার উপকূলের কাছাকাছি এসে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘দানা’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement