মূলত নিরাপত্তারক্ষীদেরই শিকার বানাতেন অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি।
নিছকই ‘বিখ্যাত’ হওয়ার নেশায় একের পর এক নিরীহ মানুষকে খুন! ধরা পড়ার পর পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছেন, মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার ত্রাস হয়ে ওঠা ‘সিরিয়াল কিলার’ বছর উনিশের এক যুবক।
শুধু নিরাপত্তারক্ষীদেরই বেছে বেছে শিকার বানাতেন তিনি। হাতুড়ি, পাথর এবং কোদাল দিয়ে তাঁদের মাথা থেঁতলে খুন করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তিন জন নিরাপত্তারক্ষীকে খুন করেছেন অভিযুক্ত। মূলত নিরাপত্তারক্ষীরা যখন ঘুমন্ত অবস্থায় থাকতেন, তখনই তাঁদের উপর হামলা চালাতেন বলে জেরায় জানতে পেরেছে পুলিশ।
কিন্তু কেন নিরীহ মানুষগুলিকে খুন করতেন? জেরায় চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন অভিযুক্ত। তাঁর দাবি, একের পর এক খুন করে ‘বিখ্যাত’ হতে চেয়েছিলেন। অভিযুক্তের ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে শুক্রবার ভোররাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ।
‘সিরিয়াল কিলারের’ শেষ শিকারের বয়ান এবং সিসিটিভি ফুটেজের উপর ভিত্তি করে তাঁর ছবি প্রকাশ করেছিল পুলিশ। তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। অভিযুক্তের শেষ শিকার ছিল ভোপালের খাজুরি এলাকায়। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি।
অভিযুক্তের শেষ শিকার ছিলেন সাগর জেলার মঙ্গল আহিরবার। মঙ্গলবার রাতে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। বুধবার ভোপালের এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। গত ২৮ অগস্টে তাঁর প্রথম শিকার কল্যাণ লোধী (৫০)। একটি কারখানায় নিরাপত্তারক্ষার কাজ করতেন তিনি। হাতুড়ি দিয়ে তাঁর মাথা থেঁতলানো ছিল বলে জানিয়েছেন সাগর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিক্রম সিংহ কুশওয়া। অভিযুক্তের দ্বিতীয় শিকার ছিলেন বছর ষাটের শম্ভু নারায়ণ দুবে। আর্টস অ্যান্ড কমার্স কলেজে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। তাঁকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়।
পুলিশ তিন খুনের যোগসূত্র পেলেও, অভিযুক্ত দাবি করেছেন, তিনি মোট ছ’জনকে খুন করেছেন। বাকি তিন জন কারা, কোন এলাকায় খুন করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।