কয়লা-কাণ্ডে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির। ফাইল চিত্র।
সকাল গড়িয়ে বিকেল। এখনও ইডি দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। কয়লা পাচার-কাণ্ডে শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সিজিও কমপ্লেক্সে (ইডি দফতর) নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে, এই মামলায় দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক। সে বার তাঁকে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। গত ২৩ জুন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুত্রসন্তানকে কোলে নিয়ে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন অভিষেক-ঘরণি। সূত্রের খবর, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে ইডির বিশেষ দল এসেছে শহরে।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার অভিষেককে ইডির তলবের খবর প্রকাশ্যে আসে। ঘটনাচক্রে সোমবার ধর্মতলার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের কর্মসূচিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘অভিষেককে হয়তো আবার নোটিস পাঠাবে ওরা।’’ ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেকও বলেছিলেন, ‘‘কিছু ঘটবে।’’ পরের দিনই, অর্থাৎ মঙ্গলবার অভিষেককে ইডির তলবের খবর রাজ্য রাজনীতিতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।
ইডির তলবের ঘণ্টা খানেক পর ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো’(এনসিআরবি)-র একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে টুইটারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করেছিলেন অভিষেক। ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ লিখেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে দু’টি কাজ রয়েছে। বাড়িতে ছেলেকে জাতীয়তাবাদ শেখানো ও তাঁর মন্ত্রকের অধীনে পুলিশকে সাজানো। দিল্লিতে অপরাধের হার আমাদের সকলকে হতবাক করেছে। ইডির সঙ্গে পুতুলখেলার বদলে বাংলার শাসনব্যবস্থা থেকে ওঁর শিক্ষা নেওয়া উচিত।’
কয়লা পাচার-কাণ্ডে এর আগে ইডি তলব নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন অভিষেক। তিনি বলেছিলেন, ‘‘ইডি, সিবিআইকে কাজে লাগিয়ে যাঁরা স্বার্থ চরিতার্থ করতে চান, তাঁদের বলতে চাই, আমি আমার অবস্থানে অনড় থাকব। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব। কিন্তু ইডি-সিবিআইয়ের কাছে মাথা নোয়াব না।’’ তদন্তে বরাবর সহযোগিতা করেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।