এখানেই উদ্ধার হয় মুণ্ডহীন দেহ। ফাইল চিত্র।
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের মঙ্গল পাণ্ডে ঘাটে একটি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ওই দেহই কি নদিয়ার ধুবুলিয়া থানা এলাকার মৃত তৃণমূল নেতা বাবুসোনা ঘোষের? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে দেহ শনাক্ত করতে ব্যারাকপুরের পথে বাবুসোনার পরিবারের লোকজন।
অভিযোগ, গত ২০ আগস্ট নদিয়ার ধুবুলিয়া থেকে কৃষ্ণগঞ্জের পীরপাড়ায় স্ত্রীকে দিয়ে তাঁর প্রেমিক বাবুসোনা ঘোষকে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে যান প্রহ্লাদ ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। বাবুসোনা এলাকার তৃণমূল ব্লক সভাপতি। তাঁকে পরিকল্পনামাফিক প্রহ্লাদ, তাঁর স্ত্রী নমিতা-সহ আরও দু’জন মিলে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন খুন করে বলে অভিযোগ। পরে ধড় থেকে বাবুসোনার মুন্ডু কেটে দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। প্রমাণ লোপাট করতে বাবুসোনার কাটা মুন্ডু এবং জামাকাপড় মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। এমনটাই মনে করছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মঙ্গল পাণ্ডে ঘাটে ভেসে আসা মুণ্ডহীন দেহ মৃত তৃণমূল নেতারই বলে অনুমান করা হচ্ছে।
গত ২৪ অগস্ট নদিয়ার ধুবুলিয়া থানায় বাবুসোনাকে খুঁজে না পেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। প্রহ্লাদের স্ত্রী নমিতার সঙ্গে নিখোঁজ বাবুসোনার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারে পুলিশ। প্রহ্লাদ এবং নমিতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তার পর দিন স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরও দু’জনের নাম। নমিতা ও প্রহ্লাদকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনাস্থলে। গ্রেফতার হন প্রসেনজিৎ ঘোষ নামে আরও এক জন। এর পর তিন জন বাবুসোনার মুন্ডু এবং জামাকাপড় ছাড়াও খুনে ব্যবহৃত সমস্ত কিছু পুলিশকে দেখিয়ে দেন। কাটা মুন্ডু-সহ বাবুসোনার পরনের জামাকাপড়, মাথার হেলমেট উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর শঙ্কর ঘোষ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়।
এর মধ্যে বাবুসোনা মুণ্ডহীন দেহ খোঁজার চেষ্টা করে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ধুবুলিয়া থানায় খবর যায়, একটি মুণ্ডহীন দেহ ব্যারাকপুরের মঙ্গল পাণ্ডে ঘাটে উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁরা এক প্রকার নিশ্চিত যে, ওই মুণ্ডহীন দেহটি খুন হওয়া তৃণমূল নেতার। পরিবার শনাক্ত করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।