রাস্তা বন্ধ থাকায় বরযাত্রীদের সঙ্গে হবু বরকে ৪ কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নৈনিতালের একটি রাস্তা। অভিযোগ, মাসখানেক পেরিয়ে গেলেও তা সংস্কার করা নিয়ে হেলদোল নেই উত্তরাখণ্ড সরকারের। এই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে কংগ্রেসের বিক্ষোভে শামিল হলেন হবু বর। বিয়ের শোভাযাত্রা থামিয়ে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গেই বসে পড়েন তিনি। যদিও উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের পাল্টা দাবি, বিক্ষোভের নামে রাজনীতি করছে কংগ্রেস।
১৫ নভেম্বর ভূমিধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নৈনিতালের কাঠগোদাম-হৈডাখান রোড। এর পর মেরামতির জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার ওই এলাকা দিয়ে বরযাত্রীদের নিয়ে শোভাযাত্রা করে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন কোটাবাগের বাসিন্দা রাহুল কুমার। হৈডাখান রোডের পরসৌলি গ্রামে তাঁর হবু স্ত্রীর বাড়ি। তবে রাস্তা বন্ধ থাকায় বরযাত্রীদের সঙ্গে তাঁকে ৪ কিলোমিটার হাঁটতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাহুল। ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় নিজের বিয়ের শোভাযাত্রা থামিয়ে তিনিও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভে দেখাতে শুরু করেন। রাহুল বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরেই এই রাস্তাটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। তার উপর ধসের জেরে পরিস্থিতি আরও বিগড়েছে। বরযাত্রীদের সঙ্গে আমাকেও যথেষ্ট দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।’’
মাসখানেক পেরোলেও সে রাস্তায় সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি বলে অভিযোগ বিরোধী দল কংগ্রেসের। এর জেরে স্থানীয় মানুষজন বিপত্তিতে পড়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেন উত্তরাখণ্ডের প্রদেশ কংগ্রেস নেতা যশপাল আর্য। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রায় ১ মাস পেরিয়ে গেলেও এ রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ। রাস্তা বন্ধ থাকার জেরে আশপাশের অন্তত দু’শো গ্রামের বাসিন্দা বিপত্তিতে পড়েছেন। অন্তঃসত্ত্বাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় অসুবিধা হচ্ছে। ফসল বিক্রি করতে বাজারে যেতে পারছেন না এলাকার চাষিরা। যার জেরে তাঁদের লোকসান হচ্ছে। তবে সরকার বা স্থানীয় প্রশাসন এ নিয়ে কিছুই করছেন না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘মন্ত্রীদের আশ্বাস সত্ত্বেও কাজের কাজ হয়নি।’’
কংগ্রেসের অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন নৈনিতালের এক শীর্ষস্তরীয় বিজেপি নেতা প্রতাপ সিংহ বিস্ত। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিরক্ষা ও পর্যটন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভট্টের নির্দেশে বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন (বিআরও) এবং তেহরি হাইড্রো ডেভেলপমেন্ট (টিএইচডিসি) এই রাস্তায় সমীক্ষা করেছে। এর সংস্কারের জন্য কিছু দিন রাস্তা বন্ধ রাখতে পরামর্শ দিয়েছে তারা। এই আবহে রাস্তা নিয়ে এ ধরনের রাজনীতি করাটা কংগ্রেসের শোভা দেয় না।’’