সুড়ঙ্গ থেকে বার করে আনার পর ৪১ জন শ্রমিককে পাঠানো হবে জেলা হাসপাতালে। ছবি: পিটিআই।
আর কিছু সময়ের মধ্যেই উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গ থেকে বার করা হতে চলেছে ৪১ জন শ্রমিককে। তার পরেই তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে জেলা হাসপাতালে। সেখানে শ্রমিকদের ভর্তি করাতে যাতে খুব বেশি দেরি না হয়, তাই সুড়ঙ্গ থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে গ্রিন করিডোর। সুড়ঙ্গ থেকে বার করার পর অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হবে উত্তরকাশীর চিনিয়ালিসৌর হাসপাতালে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুড়ঙ্গের বাইরে একে একে এসে পৌঁছেছে অ্যাম্বুল্যান্স। প্রস্তুত রয়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। তাঁরা সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করে আনবেন শ্রমিকদের। এর পর প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে পৌঁছে দেবেন উত্তরকাশীর জেলা হাসপাতালে। সুড়ঙ্গ থেকে ওই হাসপাতালে দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। জেলা হাসপাতালে পাশে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করে চপারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কোনও শ্রমিকের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে হৃষীকেশের এমস হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। সেখানেই চলবে তাঁর চিকিৎসা।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরকাশী জেলা হাসপাতালে ৪১টি শয্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রত্যেক শয্যায় রয়েছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা। ট্রমা কেয়ার ইউনিট, আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শরীরে পাশাপাশি মনের চিকিৎসাও চলবে শ্রমিকদের। গত ১২ নভেম্বর থেকে সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকেরা। সেই থেকে বিভিন্ন উপায়ে চলছে উদ্ধারের চেষ্টা। একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে অন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে এগিয়েছে উদ্ধারকাজ। শেষ পর্যন্ত ইঁদুরের মতো গর্ত খনন করে উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। যন্ত্রের পরিবর্তে হাত দিয়েই হয়েছে খনন কাজ। তা সফলও হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সুড়ঙ্গের বাইরে পৌঁছেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্করসিংহ ধামী।