মৃত্যুর আগে ভাইয়ের হাতে রাখি পরাল কিশোরী। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক দল যুবক লাগাতার হেনস্থা করে যাচ্ছিলেন কিশোরীকে। তা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল তেলঙ্গানার এক কিশোরী। এর পর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মানতে হল তাঁকে। শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তার। সোমবার রাখি পূর্ণিমা। কিন্তু হাতের সময় যে ফুরিয়ে আসছে, তা হয়তো টের পেয়েছিল কিশোরী। শনিবারই তাই হাসপাতালে শয্যাশায়ী কিশোরী ভাইয়ের হাতে রাখি বাঁধে। তার কয়েক মুহূর্ত পরেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।
কিশোরীর বাড়ি তেলঙ্গানার মেহবুবাবাদ জেলায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই কিশোরী তেলঙ্গানায় এক পলিটেকনিকের ছাত্রী ছিল। মৃতার পরিবারের দাবি, তাকে বিবাহ করতে চেয়ে চাপ দিচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর পর থেকেই ওই ব্যক্তি ও তাঁর বন্ধুরা কিশোরীকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করতে শুরু করেছিলেন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, সেই লাগাতার হেনস্থা সহ্য করতে না পেরে ১৫ অগস্ট বিষ পান করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে কিশোরী।
সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। চিকিৎসাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হতে থাকে এবং শনিবার হাসপাতালেই মৃত্যু হয় কিশোরীর। শনিবারই মৃতার দেহের ময়নাতদন্তে করা হয়। এর পর রবিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তেলঙ্গানার নরসিমহুলপেট থানার পুলিশ জানিয়েছে, যে ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছে।