COVID-19

সকলের জন্য টিকা চায় জি২০

করোনার কামড় সারিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিকে ছন্দে ফেরাতেও এক গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে বিশ্বের ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের ওই সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২০ ০৩:১২
Share:

ছবি রয়টার্স।

কোভিডের প্রতিষেধক বেরোলে তার সুফল বিশ্বের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আর্জি গত কালই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকলের জন্য টিকা নিশ্চিত করার ডাক দিয়েছিল সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, চিন, রাশিয়ার মতো অন্যান্য দেশও। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে রবিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি জানিয়ে দিল, করোনা পরীক্ষার কিট, তার ওষুধ এবং টিকা প্রত্যেকের কাছে পৌঁছে দিতে তারা দায়বদ্ধ। এ জন্য বিপুল অঙ্কের অর্থ জোগাড়ের কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।

Advertisement

করোনার কামড় সারিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিকে ছন্দে ফেরাতেও এক গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে বিশ্বের ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের ওই সংগঠন।

জি ২০-র বক্তব্য, কোভিডের কারণে জীবন এবং জীবিকা খুইয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। পথে বসেছে বহু পরিবার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সারা পৃথিবীর উপরে এক সঙ্গে এত বড় বিপদ সম্ভবত আর আসেনি। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত উন্নয়নশীল এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা দেশের পাশে দাঁড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তারা। এই সূত্রেই বিবৃতিতে দাবি, “অতিমারির আক্রমণের এই সময়ে সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য খাতে বিপুল অর্থ প্রয়োজন। বিশেষত কোভিডের পরীক্ষা-কিট, ওষুধ এবং টিকার গবেষণা, উৎপাদন ও বণ্টনের জন্য। সেই তহবিল তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।”

Advertisement

করোনায় লাইনচ্যুত বিশ্ব অর্থনীতিকে ফের মেরামত করতেও একাধিক প্রস্তাব তোলা হয়েছে বিবৃতিতে। যেমন দাবি করা হয়েছে, অভূতপূর্ব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ঋণ শোধের জন্য বাড়তি সময় দিক আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি। যাতে এখন ধার শোধ করতে না-পারলে, কোনও দেশের মূল্যায়নে আঁচ না-পড়ে। আবার অর্থনীতিতে চাহিদা ও কাজের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে সেই টাকা যেন আপাতত পরিকাঠামোর মতো ক্ষেত্রে ঢালতে পারে তারা। একই কারণে আপাতত শিথিলতা দেখানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে দ্বিপাক্ষিক ঋণের বেলাতেও।

বিশ্ব অর্থনীতি এখনও বিধ্বস্ত। তবু তারই মধ্যে আশার আলো হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে বলে জি ২০-র দাবি। তাকে জোরদার করতে মুক্ত বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত করার কথা বলা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় জোর দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে। কোভিডে ধাক্কা খাওয়া পর্যটন, বিমান পরিবহণ, আর্থিক ক্ষেত্রকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে সাহসী সংস্কারের কথা যেমন বলা হয়েছে, তেমনই পণ করা হয়েছে দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদকে টাকা জোগানোর বিরুদ্ধে এককাট্টা হওয়ার বিষয়ে। আয়োজক দেশের নাম সৌদি আরব হওয়া সত্ত্বেও সন্ত্রাসবাদকে টাকা না-জোগানোর কথা স্পষ্ট লেখা থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি সাউথ ব্লক। অনেকের ধারণা, এতে অস্বস্তি বাড়বে পাকিস্তানের।

দু’দিনের ভিডিয়ো-বৈঠক শেষে টুইটে মোদীর বক্তব্য, কোভিড পরবর্তী অধ্যায়ে বিশ্ব অর্থনীতিকে দ্রুত ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির আমূল সংস্কার যে আগে জরুরি, সে কথা ফের তুলেছেন তিনি। দাবি করেছেন, ওই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়ায় শক্ত খুঁটি হবে ‘আত্মনির্ভর ভারত’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement