বাঁদিক থেকে— জ্ঞানেশ কুমার, রাজীব কুমার এবং সুখবীর সিংহ সান্ধুক — ফাইল চিত্র।
দেড় দশক পরে ‘এক যাত্রায় পৃথক ফল’ হয়েছে এ বার। আগের তিনটি বিধানসভা নির্বাচনের মতো অক্টোবরে হরিয়ানার বিধানসভা ভোট হলেও ব্যতিক্রম মহারাষ্ট্র। কিন্তু সেখানে ভোটে দেরি করা হবে না বলে বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে কমিশনের ফুল বেঞ্চ শুক্রবার সে রাজ্যে গিয়ে বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে।
দুই নির্বাচন কমিশনার— জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিংহ সান্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন রাজীব। কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী ২৬ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই সেখানে বিধানসভা ভোট হবে। সে ক্ষেত্রে অক্টোবরে হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটপর্ব শেষ হলেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম (জনসংখ্যার নিরিখে) রাজ্যে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে কমিশন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক বৈঠকে তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা একই সঙ্গে ওই দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছিলেন। ২১ অক্টোবর একই সঙ্গে এক দফায় দু’রাজ্যের বিধানসভা ভোট হয়েছিল। কিন্তু এ বার জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট হলেও বাদ পড়েছে মহারাষ্ট্র। কেন এমন সিদ্ধান্ত? গত অগস্টে হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট ঘোষণার সময় রাজীব তার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে এ বার প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি উৎসবও রয়েছে তাই এই সিদ্ধান্ত।’’
যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, চার মাস আগে লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র কাছে বিজেপি, শিন্ডেসেনা, অজিত পওয়ারপন্থী এনসিপির জোট পর্যুদস্ত হওয়ার কারণেই এই দফায় হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে সে রাজ্যে বিধানসভা ভোট হচ্ছে না। কারণ, ‘ঘর গুছাতে’ সময় নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল। এ বারের লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে ৪৮টি আসনের মধ্যে এনডিএ পেয়েছে মাত্র ১৭টি। বিজেপি সাতটি, দুই শরিক শিবসেনা (শিন্ডে) ও এনসিপি (অজিত) গোষ্ঠী যথাক্রমে জিতেছে ন’টি ও একটি আসন। পাঁচ বছরের আগের ফল থেকে প্রায় দু’ডজন আসন কম পেয়েছে এনডিএ জোট।