China-Japan Conflict

জাপানি যুদ্ধজাহাজ প্রথম বার তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকে পড়ল! এ বার কি চিনের সঙ্গে সংঘাতে?

গত সপ্তাহে তাইওয়ানের কাছে জাপানের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল চীনের একটি বিমানবাহী রণতরি-সহ দু’টি যুদ্ধজাহাজ। তারই ‘জবাবে’ টোকিয়োর এই পদক্ষেপ বলে জল্পনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৬
Share:

জাপানি নৌসেনার ডেস্ট্রয়ার সাজ়ানমি। ছবি: সমাজমাধ্যম।

চিন-তাইওয়ান বিবাদের আবহেই এ বার ‘বিতর্কিত’ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকে পড়ল জাপানি যুদ্ধজাহাজ। টোকিয়োর দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিজেদের জাহাজ চলাচলের অধিকারের ওপর জোর দিতেই এমন পদক্ষেপ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এই প্রথম বার তাইওয়ান প্রণালীতে জাপানি যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করল।

Advertisement

পূর্ব চিন সাগর থেকে বৃহস্পতিবার জাপানি নৌসেনার সাজ়ানমি নামে ডেস্ট্রয়ার গোত্রের ওই যুদ্ধজাহাজটি তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে। ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রণালীতে গত বুধবার অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের সামরিক নৌযান দেখা গিয়েছিল। ঘটনাচক্রে, তিনটি দেশই আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে ‘আমেরিকার ঘনিষ্ঠ’ এবং ‘চিন বিরোধী’ হিসাবে পরিচিত।

গত সপ্তাহে তাইওয়ানের কাছে জাপানের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল চিনের একটি বিমানবাহী রণতরী-সহ দু’টি যুদ্ধজাহাজ। তার আগে আগস্টে জাপানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছিল চিনা বায়ুসেনার নজরদারি বিমান। দু’ক্ষেত্রেই প্রতিবাদ জানিয়েছিল টোকিয়ো। কিন্তু জবাবে বেজিং বলেছিল, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই এমনটি করেছে তারা। এই পরিস্থিতি চিনা কার্যকলাপের জবাবেই জাপানের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

গত মে মাসে আগাম ঘোষণা ছাড়াই বৃহস্পতিবার ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ তাইওয়ানের সীমান্ত ঘেঁষে মহড়া শুরু করেছিল চিনা সেনা। তার পরেই ওই এলাকায় নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত দু’বছরে একাধিক বার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে তাইওয়ানের জল এবং আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বেজিং। ২০২২ সালের অগস্টে চিনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান।

চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সে সময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল। এর পর সাময়িক ভাবে উত্তেজনা প্রশমনের উদ্দেশ্যে দু’পক্ষ কিছুটা নমনীয় হলেও চলতি বছর তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচনে কট্টর চিন-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)-র জয়ের পর নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। চিনের দাবি, তাইওয়ান তাদেরই দেশের ‘বিদ্রোহী ভূখণ্ড’। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করেও তারা তাইওয়ানকে চিনের মূল ভূখণ্ডে যোগ করতে বদ্ধপরিকর। উল্টো দিকে, তাইওয়ানের বর্তমান সরকার তাদের অবস্থানে অনড়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement