অরুণাচল প্রদেশের সাংগিয়াং গায়াৎসো পিক। ছবি: সমাজমাধ্যম।
লাদাখের প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) এখনও উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি। এই পরিস্থিতিতে অরুণাচল প্রদেশে একটি অনামা শিখরের নামকরণ ঘিরে নতুন করে সংঘাতে ভারত এবং চিন। ভারতীয় সেনার তরফে ওই শৃঙ্গটিকে প্রয়াত ষষ্ঠ দলাই লামা নামে চিহ্নিত করার পরেই তীব্র বিরোধিতা করেছে চিন।
কর্নেল রণবীর সিংহ জামওয়ালের নেতৃত্বে ভারতীয় সেনার ১৫ সদস্যের একটি দল সম্প্রতি ওই শৃঙ্গ আরোহণের অভিযান করেছিল। ২০৯৪২ ফুট উঁচু ওই শিখরটিতে এই প্রথম কোনও সফল আরোহণ হল। অভিযানের পরে ওই শৃঙ্গটিকে ষষ্ঠ দলাই লামা দেসি সাংগিয়াং গায়াৎসোর নামে চিহ্নিত করেছিলেন কর্নেল জামওয়ালরা। অরুণাচলের পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস’ (নিমাস)-এ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই অভিযাত্রী দলের নামকরণকে স্বীকৃতি দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর সরকার।
তার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া মেলে বেজিংয়ের তরফে। সরাসরি ওই সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি পদক্ষেপ’ বলে চিহ্নিত করেছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার। চিনা বিদেশ দফতরের মুখপাত্র লিন জিয়ান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘‘জাংনানের (অরুণাচল প্রদেশকে এই নামে চিহ্নিত করে একদলীয় চিনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং সরকার) এলাকাটি চিনের ভূখণ্ড।’’ ঘটনাচক্রে, ষষ্ঠ দলাই লামা ১৬৮২ সালে অরুণাচল প্রদেশেরই তাওয়াংয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সাম্প্রতিক কালে, তাঁর স্মৃতিতে গড়ে ওঠা তাওয়াং মঠে বর্তমান দলাই লামার (চতুর্দশ) সফরেরও বিরোধিতা করেছে চিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ৯ মার্চ অরুণাচল সফরে গিয়ে চিন সীমান্তবর্তী সেলা গিরিপথের ১৩ হাজার ফুট উচ্চতার দ্বিতীয় সুড়ঙ্গটির উদ্বোধন করেছিলেন। সে সময়ও আপত্তি জানিয়েছিল বেজিং।