Kota Suicide

ফের কোটায় পড়ুয়া মৃত্যু! পরীক্ষার চার দিন আগে বন্ধ ঘর থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

১৭ বছর বয়সি মনন রাজস্থানেরই ইন্দরগড় এলাকার বাসিন্দা। তবে পড়াশোনার সুবিধার্থে দাদার সঙ্গে কোটায় থাকত। প্রায় তিন বছর ধরে সেখানেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৬
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

চার দিন বাদেই পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষায় বসার আগেই রাজস্থানের কোটায় এক জেইই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হল। জওহর নগর থানা এলাকায় তার দাদার বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ওই পড়ুয়ার দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সে আত্মহত্যা করেছে। তবে ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম মনন শর্মা। কোটায় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষা জেইই-র প্রস্তুতি নিচ্ছিল। থাকত তার দাদার বাড়িতে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে মনন। তার পর ঘুমোতে যায়। কিন্তু সকালে তার ফোনে বার বার ফোন করে তার বাবা-মা। কিন্তু ফোন ধরেনি সে। তখন মননের দাদাকে ফোন করে খবর নেওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা। ফোন পেয়ে মননের ঘরে গিয়ে তিনি তাঁর ভাইকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

১৭ বছর বয়সি মনন রাজস্থানেরই ইন্দরগড় এলাকার বাসিন্দা। তবে পড়াশোনার সুবিধার্থে দাদার সঙ্গে কোটায় থাকত। প্রায় তিন বছর ধরে সেখানেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে। কী কারণে সে এই চরম পদক্ষেপ নিল, তা স্পষ্ট নয়। তবে তার পরিবার চায় না মননের ময়নাতদন্ত করা হোক।

Advertisement

পড়াশোনা নিয়ে সে কোনও মানসিক চাপে ছিল কি না, কোনও রকম অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েছিল কি না, সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বছরের শুরুতেই কোটায় পর পর আত্মহত্যার ঘটনায় আবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে।

বছরের শুরুতেই কোটায় দুই জয়েন্ট এন্ট্রান্স পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। সেই দু’জনের ক্ষেত্রেও কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। এক জনের বাড়ি হরিয়ানায়, অন্য জন মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। গত ৭ জানুয়ারি নীরজ নামে হরিয়ানার এক পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন। ৮ জানুয়ারি দেহ উদ্ধার হয় অভিষেক নামে আর এক পড়ুয়ার। শুক্রবার কোটার বিজ্ঞাননগরের একটি বাড়ি থেকে নিট পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার কোটায় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। এই নিয়ে চলতি বছরে চতুর্থ আত্মহত্যার ঘটনার ঘটল কোটায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement