পাঁচ বছর কাটিয়ে মাওবাদী সংশ্রবের অভিযোগ থেকে মুক্তি প্রাক্তন অধ্যাপক সাইবাবার। ফাইল চিত্র।
মাওবাদীদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। এই অভিযোগে ২০১৪ সালে দিল্লির অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে গ্রেফতার করে মহারাষ্ট্র পুলিশ। এর পর নিম্ন আদালত দিয়েছিল যাবজ্জীবন জেলের সাজা। শুক্রবার বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ মাওবাদী সংস্রবের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল তাঁকে।
নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি অবসরপ্রাপ্ত সাইবাবা এখন শারীরিক ভাবে চলচ্ছক্তিহীন। আদালতে রায় ঘোষণার সময় হাজিরা দিতে জন্য হুইল চেয়ারে আনা হয়েছিল তাঁকে। বম্বে হাই কোর্টের বিচারক রোহিত দেও এবং অনিত পানসরের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার রায় ঘোষণা করে জানায়, মহারাষ্ট্র পুলিশ সাইবাবার বিরুদ্ধে আদালতগ্রাহ্য কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে ২০১৭ সালে দেওয়া নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। নিম্ন আদালতের ওই রায়কেই ২০১৭ সালে হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন প্রতিবন্ধী সাইবাবা।
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পড়ুয়া হেম মিশ্র এবং সাংবাদিক প্রশান্ত রাহিকে ২০১৩ সালে মাওবাদী যোগের অভিযোগে মহারাষ্ট্র পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সেই সূত্র ধরেই পরের বছর দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামলাল আনন্দ কলেজের অধ্যাপক সাইবাবাকে।
মহারাষ্ট্র পুলিশের অভিযোগ ছিল, দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয় ভাবে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সাইবাবা। ২০১২ সালে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে নিষিদ্ধ একটি মাওবাদী সংগঠনের সম্মেলনেও নাকি অংশ নিয়েছিলেন তিনি! শারীরিক অক্ষমতার কারণে জামিন পেয়ে গেলেও ২০১৭-য় নিম্ন আদালত ইউএপিএ (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) আইনে সাজা ঘোষণার পরে জেলে যেতে হয় প্রতিবন্ধী ওই অধ্যাপককে।