বিজেপিতে যোগ দিলেন অশোক চহ্বাণ। ছবি: সংগৃহীত।
তিনি কংগ্রেস ছাড়ার পরেই জল্পনা ছড়িয়েছিল যে, এ বার বিজেপিতে যোগ দেবেন। দলত্যাগের এক দিন পরে জল্পনা সত্যি করে বিজেপিতে যোগ দিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ। মুম্বইয়ের বিজেপি দফতরে তাঁকে স্বাগত জানান মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। যোগদান অনুষ্ঠানে ভুল করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেলেন তিনি। ফডণবীস সতর্ক করতেই ভুল শুধরে নিয়ে রাজ্যের বিজেপি সভাপতিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। হাসির রোল ওঠে বিজেপি দফতরের কক্ষে। মঙ্গলবার
দুপুরে যোগদানের আগে সকালেই অবশ্য অশোক জানিয়েছিলেন যে, বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। অশোক সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “আমি আজ আমার রাজনৈতিক জীবনে নতুন একটি যাত্রা শুরু করতে চলেছি। আমি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছি।” সোমবার সন্ধ্যাতেও অবশ্য কংগ্রেসত্যাগী এই নেতা জানিয়েছিলেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। একই সঙ্গে জানান, দল ছাড়ার কারণ ‘ব্যক্তিগত’।
সোমবার সকালেই দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়েন অশোক। তার পর মহারাষ্ট্রের স্পিকার রাহুন নারভেকরের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র তুলে দেন মহারাষ্ট্রের ভোকার কেন্দ্রের সদ্য প্রাক্তন বিধায়ক অশোক। তখনই সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, অশোকের সঙ্গে বিজেপির প্রাথমিক কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে বিজেপির সমর্থনে মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় যেতে চলেছেন তিনি। ওই সূত্রের খবর, অশোকের সঙ্গে অন্তত ১০-১২ জন কংগ্রেস বিধায়কও শিবির বদল করতে পারেন। প্রসঙ্গত, গত মাসেই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। কিছু দিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন শিবসেনায় যোগ দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি।
২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অশোক। তাঁর বাবা শঙ্কররাও চহ্বাণও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও দলীয় সংগঠনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন অশোক। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, লোকসভায় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের সঙ্গে কিছু দিন ধরেই মতান্তর চলছিল অশোকের। সেই কারণেই তাঁর দলত্যাগ বলে মনে করছে কংগ্রেসের একাংশ। মহারাষ্ট্রের নান্দেড় অঞ্চলে প্রভাবশালী ছিলেন অশোক। তিনি দল ছাড়ায় লোকসভার আগে কংগ্রেসের ক্ষতিই হল বলে মনে করছে দলের ওই অংশটি।