টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু। ছবি: পিটিআই।
দুর্নীতি মামলায় অন্ধ্রপ্রদেশের সিআইডি সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুকে গ্রেফতার করার পরেই শুরু হল রাজনৈতিক বিতর্ক। চন্দ্রবাবুর দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হয়েছে। অন্য দিকে, ধৃত টিডিপি নেতা শনিবার বলেছেন, ‘‘আমি কোনও দোষ করিনি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ এবং সিআইডির অভিযোগ, চন্দ্রবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সে রাজ্যের সরকারি সংস্থা ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’-এর প্রায় ৩৭১ কোটি টাকার তহবিল নয়ছয় হয়েছে। চন্দ্রবাবুর পাশাপাশি, এই মামলায় তাঁর ছেলে তথা টিডিপি নেতা নারা লোকেশকেও শনিবার গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা টিডিপি বিধায়ক গন্ত শ্রীনিবাস রাও এবং তাঁর ছেলে রবিজেতা। টিডিপি নেতৃত্বের অভিযোগ, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেস প্রধান জগন্মোহন রেড্ডি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই পদক্ষেপ করেছেন।
টিডিপি সাংসদ কে শ্রীনিবাস শনিবার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। অন্য দিকে, টিডিপি মুখপাত্র কোমারেড্ডি পট্টভিরাম শনিবার বলেন, ‘‘চন্দ্রবাবু ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা পান। তাঁকে যে পদ্ধতিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তা পুরোপুরি বেআইনি।”
টিডিপি সূত্রে খবর, দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়ালে ছিলেন চন্দ্রবাবু। একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার পরে ভ্যানিটি ভ্যানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। শনিবার ভোরে সেখানেই হানা দেয় সিআইডি এবং অন্ধ্র পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন নান্দিয়ালের ডিআইজি রঘুরামি রেড্ডি। সকাল ৬টা নাগাদ চন্দ্রবাবুকেকে গ্রেফতার করে ভ্যানিটি ভ্যান থেকে বার করে আনা হয়। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বিজয়ওয়াড়ার একটি হাসপাতালে। ঘটনাচক্রে, শুক্রবারেই চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে জনসাধারণের টাকা লুট করার অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা মেরুগা নাগার্জুন।