নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। ছবি: পিটিআই।
ভারতের প্রস্তাব মেনে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে স্থান পেতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত একটি অধ্যায়। কূটনৈতিক ভারসাম্য রেখে গৃহীত হয়েছে ওই প্রস্তাব। যুযুধান দুই দেশের কাছে সঙ্কট মেটানোর আবেদন জানানো হয়েছে ভারতের তরফে পেশ করা সেই যৌথ ঘোষণাপত্রের খসড়ায়। যদিও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও এখনও ঐকমত্য হয়নি জি২০ রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, জি২০-র সভাপতি ভারতের তরফে শনিবার সকালে বৈঠকের আগেই খসড়া যৌথ ঘোষণাপত্রে ইউক্রেন সঙ্কট সংক্রান্ত অধ্যায়টি যুক্ত করা হয়। জি২০-র শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত রাষ্ট্রনেতারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে স্পষ্টতই মতপার্থক্য রয়েছে চিনের। ফলে শেষ পর্যন্ত ঐকমত্য হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৩-৬ সেপ্টেম্বর জি২০ শেরপা ভারতীয় কূটনীতিক অমিতাভ কান্তের নেতৃত্বে প্রস্তুতি বৈঠকে ইউক্রেন সঙ্কট সংক্রান্ত প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়নি।
আমেরিকা এবং পশ্চিমী দুনিয়ার ধারাবাহিক চাপ সত্ত্বেও রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব সমর্থন করেনি ভারত। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগও ছিন্ন করেনি। আগাগোড়াই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক বছর আগে উজবেকিস্তানে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে প্রকাশ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছিলেন, ‘‘এখন যুদ্ধের সময় নয়।’’ সম্প্রতি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও মোদী সরকারের এই ভারসাম্যের কূটনীতিকে সমর্থন করেছেন।
জি২০ ঘোষণাপত্র সম্পর্কে শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সামনে এক প্রশ্নের উত্তরে কান্তকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘জি২০ একটি অর্থনৈতিক মঞ্চ। অর্থনৈতিক উন্নতি এবং বৃদ্ধি এর লক্ষ্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত বছর জি২০-তে অবশ্য যুদ্ধের (ইউক্রেন) ফলে খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের সঙ্কটের বিষয়টি সামনে এসেছিল এবং তাই আলোচনাও হয়েছিল। এ বারের বৈঠকের সময়েও সংঘাতের (ইউক্রেন) ফলে আর্থিক বৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে আমরা এই নিয়ে নেতাদের কাছে আমাদের মতামত জানিয়েছি।’’