অসমে বন্যা পরিস্থিতি। ছবি: পিটিআই।
গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অসমে। প্লাবন পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ৩৪ হাজারেও বেশি মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১১টি জেলা। সে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদ এবং আরও কয়েকটি নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। তবে এখনও জলস্তর বিপদসীমা পার করেনি। গত বছরও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল অসমে। সে বার দুর্ভোগে পড়েছিলেন বহু মানুষ।
অসম প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৩৪ হাজার ১৮৯ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ হাজার ৬৭৫ জন মহিলা এবং ৩ হাজার ৭৮৭ জন শিশু। বিশ্বনাথ, দরং, ধেমাজি, লখিমপুর, তামুলপুর-সহ ১১টি জেলা ক্ষতির মুখে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লখিমপুর। সেখানে ২৩ হাজার ৫১৬ জনেরও বেশি মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ডিব্রুগড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৫৭ জন। দরংয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা ২২৩১। বিশ্বনাথ জেলায় ২২৩১ জন মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ধেমাজিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৫ জন মানুষ।
বন্যা পরিস্থিতিতে ১১টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। তার মধ্যে ৮টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে লখিমপুরে। উদালগুড়িতে ২টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। অসমে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, ৭৭টি গ্রাম মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ২০৯.৬৭ হেক্টর জমির। দিমা হাসাও এবং কামরূপ জেলায় ভারী বৃষ্টির কারণে ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে।