সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পরের অবস্থা। ছবি: সংগৃহীত।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণের অভিঘাতে ভেঙে পড়ল পর পর পাঁচটি বাড়ি। ঘটনাস্থল মুম্বই। ধ্বংসস্তূপ থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। এখনও কেউ ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে রয়েছেন কি না তার খোঁজ চলছে।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল আটটা। মুম্বইয়ের চেম্বুরের গল্ফ ক্লাব এলাকার পুরনো ব্যারাক আচমকাই কেঁপে উঠল বিকট বিস্ফোরণে। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে পড়ে আশপাশের পাঁচটি বাড়ি। ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েন বেশ কয়েক জন। দমকল এবং পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। একে একে উদ্ধার করা হয় ১১ জনকে। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ১১ জনের মধ্যে চার জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। মুম্বইয়ের শতাব্দী হাসপাতালের চিকিৎসক কেদার বলেন, “১১ জনকে এখানে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের ভর্তি করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫০ বছরের বিকাশ আম্ভোরে, ২৭ বছরের অশোক আম্ভোরে, ৪৭ বছরের সবিতা আম্ভোরে এবং ২৯ বছরের রোহিত আম্ভোরে।’’
প্রাথমিক উদ্ধারকাজ শেষ হলেও এখনও কেউ ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে রয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ এবং মুম্বই পুলিশের বিশেষ দল। এলাকার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের পরের ছবি। কোথাও ভেঙে পড়েছে সম্পূর্ণ বাড়ি। আবার কোথাও ভাঙা বাড়ি থেকে ঝুলছে আস্ত বারান্দা। কী করে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হল তা এখনও পরিষ্কার হয়নি। কর্মব্যস্ত বুধবার সকালে দেশের বাণিজ্যনগরীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।