(বাঁ দিকে) খালেদা জিয়া। মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
গোয়েন্দা সংস্থার মদতে বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল বিএনপি। সেই সঙ্গে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভির আশঙ্কা— পরবর্তী নির্বাচনে ওই দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য রাষ্ট্রীয় মদতে কারচুপি হতে পারে।
রিজভি বৃহস্পতিবার একটি কর্মসূচিতে বলেন, ‘‘কারা নির্বাচিত হবেন, রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদি তা নির্ধারণ করে দেয়, তা হলে এ আত্মত্যাগের কী দাম থাকবে!’’ সরাসরি কোনও নাম না করলেও রিজভির নিশানায় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বলেই সে দেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে। কারণ, ওই কর্মসূচিতেই তিনি বলেছেন, ‘‘বিএনপিকে ভাঙার জন্য এ সরকারের ভেতরে ক্ষীণ প্রচেষ্টা কাজ করছে কি না, তা নিয়ে জনগণের ভেতরে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।’’
গত ৫ অগস্ট জনবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব ছেড়েছিলেন। ৮ অগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হয়েছিলেন ইউনূস। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ইউনূসকে সমর্থন জানালেও তার পর থেকে ধাপে ধাপে বিএনপি নেতৃত্বের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। নতুন নির্বাচনের আয়োজনের ক্ষেত্রে গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন খালেদার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেদের একাংশের অনুমান, সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টা পদে থাকা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র নেতাদের ‘তৎপরতা’ সংঘাতের অন্যতম কারণ। এ বার সেই কারণ চলে এল প্রকাশ্যে।