প্রতীকী চিত্র ছবি আইস্টক
বাজি তৈরির জন্য রাসায়নিক মেশানোর কাজ করতে গিয়ে বিস্ফোরণ হল তামিলনাড়ুর এক বাজি কারখানায়। বিস্ফোরণের জেরে আগুন লেগে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন কারখানার ১১ জন কর্মী। প্রবল বিস্ফোরণ তাঁদের শরীর এমন ভাবে পুড়ে গিয়েছে যে তাঁদের শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। জখম অন্তত ৩৬ জন। এঁদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রত্যেকেরই শিবকাশীর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পলানিস্বামী।
চেন্নাই থেকে ৫৩ কিলোমিটার দূরে বিরুধুনগরে রয়েছে ওই বাজি কারখানা। শুক্রবার দুপুর দেড়টা নাগাদ হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলবাহিনী। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় কারখানার ভিতরে আটকে পড়া শ্রমিকদের।
জখমদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ১০৮টি অ্যাম্বুল্যান্স। জখমদের মধ্যে ২২ জনের শরীরের ৫০ ভাগই পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনিক কর্তা আর মঙ্গলরাম সুব্রহ্মণ্যম। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কারখানায় মজুত করা বাজি ও রাসায়নিক ফাটার আওয়াজ গোটা এলাকায় ত্রাস ছড়িয়েছে। বিরুধুনগরের জেলা অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের কর্তা জি কে গণেশন জানিয়েছেন, সা্ত্তুর, ভেন্বাকোট্টাই ও শিবকাশী থেকে দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে।
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের এই ঘটনায় শুক্রবার উদ্বেগ জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকার এককালীন অর্থসাহায্যের ঘোষণা করেছেন মোদী। এ ছাড়া গুরুতর জখমদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীও মৃতদের পরিবার পিছু ৩ লক্ষ টাকা এবং জখমদের ১ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।বাজি কারখানায় দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও।