পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ।
ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে সুইডেনের ‘খুদে’ পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের টুইটের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করল দিল্লি পুলিশ। থুনবার্গের টুইটে শেয়ার করা ‘টুলকিট’ এর নির্মাতা সংস্থার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে জাতি, ধর্মের ভিত্তিতে শত্রুতাকে প্রশ্রয় দেওয়া) এবং ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
কৃষকদের সমর্থন করে মঙ্গলবার রাতে টুইট করেছিলেন থুনবার্গ। ‘হ্যাশট্যাগ ফার্মার্স প্রোটেস্ট’ ব্যবহার করে তিনি টুইট করেন, ‘আমরা কৃষক আন্দোলনের পাশে আছি’। শুধু তাই নয়, এক সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত কৃষক আন্দোলনের একটি লেখাও শেয়ার করেছিলেন তিনি। এর পরেও থেমে থাকেননি থুনবার্গ। ফের আরও একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘যদি কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চান তা হলে ‘#স্ট্যান্ডউইথফার্মার্স #ফার্মার্সপ্রোটেস্ট’— এই হ্যাশট্যাগকে সমর্থন করুন’। এর পরই দিল্লি পুলিশ এফআইআর দায়ের করে।
প্রথমে কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করে আন্তর্জাতিক মহলে সাড়া ফেলেছেন আমেরিকার পপ তারকা রিহানা। তার পর এই বিষয় নিয়ে টুইট করেন থুনবার্গ, মিয়া খলিফারা। যা নিয়ে দেশের অন্দরেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রিহানা, থুনবার্গরা যখন কৃষক আন্দোলন নিয়ে টুইট করছেন, পাল্টা টুইট করে দেশের চলচ্চিত্র জগৎ, ক্রীড়া এবং সঙ্গীত জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও জবাব দিয়েছেন। সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা পাল্টা বার্তা দিয়েছেন, এটা ভারতের বিষয়। ভারতই সিদ্ধান্ত নেবে।
থুনবার্গকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “থুনবার্গের টুইটই প্রমাণ করে দিচ্ছে যে একটা ষড়যন্ত্র চলছে। এর পরই তিনি প্রশ্ন তোলেন, এক জন পরিবেশকর্মী হয়ে কী ভাবে কৃষকদের সমর্থন করছেন, যাঁরা শস্যের গোড়া পুড়িয়ে পরিবেশকে দূষিত করছেন বছরের পর বছর ধরে?’’
সম্প্রতি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন থুনবার্গ। এ প্রসঙ্গে থুনবার্গকে কটাক্ষ করে মীনাক্ষীর মন্তব্য, “গ্রেটা থুনবার্গ শিশু। পুরস্কারের বিষয়টা যদি আমার হাতে থাকত, তা হলে নোবেলের জন্য মনোনীতদের তালিকা থেকে ওর নামটা বাদ দিয়ে শিশু পুরস্কার দিতাম।”