আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ প্রভুনাথ সিংহ। — ফাইল ছবি।
পাল্টে গেল পটনা হাই কোর্টের রায়। ১৯৯৫ সালে জোড়া খুনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হলেন আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ তথা মহারাজগঞ্জের বাহুবলি প্রভুনাথ সিংহ। তাঁকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করেছিল পটনা হাই কোর্ট। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল। আগামী ১ সেপ্টেম্বর তাঁর সাজার উপর শুনানি।
বিহারের মহারাজগঞ্জ আসন থেকে তিন বার জেডিইউ এবং এক বার আরজেডি প্রার্থী হিসাবে লোকসভায় যাওয়া প্রভুনাথের বিরুদ্ধে ১৯৯৫ সালের ২৩ অগস্ট বিধানসভা ভোট চলাকালীন ৪৭ বছরের দারোগা রায় এবং ১৮ বছরের রাজেন্দ্র রায়কে খুনের অভিযোগ ছিল। অভিযোগ, প্রভুনাথের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ায় তাঁদের খুন হতে হয়। নিম্ন আদালত হয়ে সেই মামলা পৌঁছয় পটনা হাই কোর্টে। ২০০৮ সালে প্রমাণের অভাবে হাই কোর্ট প্রভুনাথকে বেকসুর খালাস করে দেয়। সেই মামলাতেই এ বার দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন আরজেডি নেতা। আগামী ১ সেপ্টেম্বর প্রভুনাথকে এজলাসে হাজির করাতে বিহারের ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সে দিন তাঁর সাজা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
মামলাকারীর আইনজীবী অভয় কুমার বলেন, ‘‘অন্য অভিযুক্তদের খালাস করে দিলেও শীর্ষ আদালত প্রভুনাথকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ডিজিপি এবং বিহারের মুখ্যসচিবকে ১ সেপ্টেম্বর প্রভুনাথকে সঙ্গে নিয়ে এজলাসে হাজির থাকতে হবে।’’
অন্য একটি খুনের মামলায় বর্তমানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা খাটছেন প্রভুনাথ। ১৯৯৫ সালেই জনতা দলের বিধায়ক অশোক সিংহকে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রভুনাথের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতে ২০১৭ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় প্রাক্তন আরজেডি সাংসদকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে বিহার বিধানসভা ভোটে প্রভুনাথকে হারতে হয়েছিল অশোকের কাছে। তার পরেই পটনায় নিজের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় অশোকের। সেই সময় প্রভুনাথকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ভোটের ৯০ দিনের মধ্যে অশোককে সরিয়ে দেওয়া হবে। মহারাজগঞ্জের এ হেন বাহুবলি প্রভুনাথ ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন জনতা দলে। তার পর যোগ দেন জেডিইউতে। পরে নীতীশের হাত ছেড়ে লালুর হাত ধরেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারেই পশুখাদ্য দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদকে আবার জেলে পাঠাতে সক্রিয় হয়েছে সিবিআই। লালুর জামিন বাতিলের দাবিতে সিবিআইয়ের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে।