প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার ছায়া এ বার মধ্যপ্রদেশের গ্বালিয়রের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে। ওই হাসপাতালের পরিত্যক্ত হস্টেলে এক মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণের অভিযোগ তাঁর সহকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গ্বালিয়রের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের একটি পরিত্যক্ত হস্টেলে। নির্যাতিতা এবং অভিযুক্ত— দু’জনের বয়সই ২৫ বছর। সোমবার গ্বালিয়রের পুলিশ সুপার অশোক জাদন জানিয়েছেন, নির্যাতিতা গজরাজ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী। থাকতেন মেয়েদের হস্টেলে। অভিযুক্ত নির্যাতিতার সহপাঠী। ঘটনার দিন অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার নির্যাতিতাকে ওই পরিত্যক্ত হস্টেলে ডেকে পাঠান। অভিযোগ, সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
নির্যাতিতা পরে কম্পু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার ঠিক কী ঘটেছিল? অভিযুক্ত একা ছিলেন কি না? পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অন্য পড়ুয়াদেরও বয়ান রেকর্ড করছেন তদন্তকারীরা।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের সেমিনার রুমে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। পরে সিবিআই এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়ে অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। মামলার চার্জশিটে এখনও পর্যন্ত ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ারকেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করেছে। বিচারপ্রক্রিয়াও চলছে। অন্য দিকে, আরজি করের ঘটনায় বাংলা তো বটেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিতে পথে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা। বিক্ষোভ, মিছিল, অবস্থান, অনশন— আরজি কর-কাণ্ডে দেখা গিয়েছে প্রতিবাদের নানা ভাষা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই গ্বালিয়রে একই অভিযোগ উঠল।