ফাইল চিত্র
গত বছর দেশের কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে তবলিঘি জামাতের সমাবেশ নিয়ে একের পর এক ভুয়ো বিষয় তুলে ধরা হয়েছে ফেসবুক, টুইটার এবং ইউটিউবে। সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে বহু রিপোর্ট পরিবেশন করা হয়েছে। দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ তুলে ওয়েব পোর্টালগুলিকে কড়া ভাষায় বিঁধল সুপ্রিম কোর্ট।
তবলিঘি জামাতের সমাবেশ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আপত্তি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। ওই মামলার শুনানিতেই এ দিন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা বলেন, ‘‘সমস্যা হল, সমস্ত কিছুই সাম্প্রদায়িকতার মোড়কে পরিবেশন করে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। আর কিছুই নয়, এই প্রবণতার জন্য শুধু দেশের নাম খারাপ হচ্ছে।’’ বিচারপতিরা বলেন, ‘‘আমাদের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা বলছে, ওয়েব পোর্টালগুলি এখন শুধু ক্ষমতাবানদের কথাই শোনে। তাঁদেরই ভয় পায়। কোনও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বিচারপতি বা সাধারণ মানুষকে তারা পাত্তাই দেয় না। তাদের নামে যা খুশি তাই লিখে দিতে পারে।’’
বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং টিভি চ্যানেলে যা দেখানো হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে জানতে চান বিচারপতিরা। উত্তর দিতে গিয়ে মেহতাও বলেন, ‘‘শুধু সাম্প্রদায়িকই দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, গল্প বানিয়েও পরিবেশন করা হয়েছে। বহু পোর্টাল থেকে ভুয়ো খবরও ছড়ানো হয়।’’ তার পরই ভুয়ো খবর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বেঞ্চ। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘ইউটিউবে গেলেই বুঝবেন কী ভাবে সহজে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় ওই মাধ্যমে। আর যে কেউ অনায়াসে চ্যানেল খুলে ফেলতে পারেন।’’