পুরীর জগন্নাথ মন্দির। —ফাইল চিত্র।
৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের নিয়মে পরিবর্তন আনছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই দু’দিন চাইলেই যে কোনও পথ দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না সাধারণ ভক্তেরা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ এবং বাহিরের জন্য চারটি পথ রয়েছে। বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের দিনে সাধারণ ভক্তেরা কেবলমাত্র মন্দিরের সিংহদ্বার দিয়েই প্রবেশ করতে পারবেন। বাকি তিনটি দ্বার ব্যবহৃত হবে বেরোনোর জন্য। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কেবল সাধারণ ভক্তদের জন্যই এই নিয়ম কার্যকর থাকবে। মন্দিরের সেবায়েত বা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য অবশ্য তা বলবৎ হচ্ছে না।
বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের দিনে মন্দিরে ভক্তদের ভিড় তুলনামূলক ভাবে বেশি হওয়াই দস্তুর। মন্দির দর্শনের সময়ে কোথাও যাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সে জন্য এই পদক্ষেপ করছেন তাঁরা। একই সঙ্গে পুরী জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের তরফেও আগাম পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সিংহদ্বার থেকে শহরের বাজার এলাকা পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ভক্তেরা শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন।
ওড়িশার ডিআইজি (সেন্ট্রাল) চরণসিংহ মীনা জানিয়েছেন, এই দু’দিন পুরীর জগন্নাথধামে নিরাপত্তা এবং ভিড় সামলানোর জন্য ৬০ প্ল্যাটুন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। সাধারণত এক একটি প্ল্যাটুনে ৩০ জন করে পুলিশকর্মী থাকেন। সে ক্ষেত্রে মোতায়েন হওয়া পুলিশকর্মীর সংখ্যা প্রায় দেড় হাজারের আশপাশে হতে পারে। জগন্নাথ মন্দিরে ভিড় সামলানোর দায়িত্বে থাকবেন অন্তত ১০ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৩৩ জন ডেপুটি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিক। ছিনতাইবাজদের রোখার জন্য মন্দিরের ভিতরে মোতায়েন থাকবে পুলিশের দু’টি পৃথক দল।