সোমবার অসম পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়েন গাজ়ি রহমান নামে এক জঙ্গি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
অসম পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের হাতে গ্রেফতার আরও এক জঙ্গি। ধৃতের নাম গাজ়ি রহমান। বছর পঁয়ত্রিশের ওই জঙ্গিকে সোমবার অসমের কোকরাঝাড় জেলা থেকে পাকড়াও করেছে অসম এসটিএফ। অসম পুলিশ সম্প্রতি জেহাদি দমনের জন্য ‘অপারেশন প্রঘাত’ শুরু করেছে। অভিযানের মূল লক্ষ্য জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার উপমহাদেশীয় শাখা (একিউআইএস) এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি)-এর সদস্যদের পাকড়াও করা। তাতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন বাংলাদেশি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। সোমবার কোকরাঝাড় থেকে ধরা পড়া জঙ্গির সঙ্গেও বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত অসম এসটিএফের হাতে এবিটি এবং একিউআইএসের ১২ জন জেহাদি গ্রেফতার হয়েছেন। অসম এসটিএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল পার্থসারথি মহন্ত জানান, ‘অপারেশন প্রঘাত’-এ একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। তবে ধৃত জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে যুক্ত কি না, সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত সরাসরি কোনও বিবৃতি দেয়নি পুলিশ। এসটিএফের আইজিপি জানিয়েছেন, স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে গাজ়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি জেহাদি দমন অভিযানে পশ্চিমবঙ্গেও অভিযান চালিয়েছিল অসম পুলিশ। অসম এবং বাংলার পুলিশের যৌথ অভিযানে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ আব্বাস এবং মিনারুল শেখকে। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, তাঁরা দু’জনেই বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সক্রিয় সদস্য। তাঁদের গ্রেফতার করে অসমে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে দু’জনের যুক্ত থাকার অভিযোগ তাঁদের পরিবার অস্বীকার করেছে। অসম, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি এই জেহাদি দমন অভিযানে কেরলেও হানা দেয় অসম পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স।
অসম এসটিএফের তরফে দেশের তিনটি রাজ্যের মোট ১৪ জায়গায় একই সঙ্গে শুরু করা হয় ‘অপারেশন প্রঘাত’। গত ১০ ডিসেম্বর অসম পুলিশের এসটিএফ সূত্র মারফত খবর পায়, নাশকতামূলক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকেছে বেশ কিছু জঙ্গি। তার পর টানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযানে পুলিশের জালে ৮ জঙ্গি ধরা পড়ে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, আনসারুল্লাহ বাংলা শাখার ‘প্রধান’ জসিমউদ্দিন রহমানির সহযোগী মহম্মদ ফারহান ইশরাকের নির্দেশেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকে একটি দল। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করে অসম এসটিএফ, এবং শুরু হয় ‘অপারেশন প্রঘাত’।