খুলে নেওয়া হচ্ছে ইংরেজিতে লেখা ফলক। ছবি: সংগৃহীত।
দোকানের সাইনবোর্ডে ইংরেজিতে লেখা চলবে না। এই দাবিতে বেঙ্গালুরু শহরের দোকানে দোকানে চলল ভাঙচুর। উপড়ে ফেলা হল ইংরেজি হরফে লেখা সমস্ত ফলক। এমনকি, বেঙ্গালুরুর দেওয়ালে দেওয়ালে কোনও ইংরেজি লেখা দেখলেই তাতে কালি ছিটিয়ে দিলেন কন্নড় ভাষার জন্য আন্দোলনকারী একদল মানুষ।
ইংরেজির চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে কন্নড় ভাষা। এমন অভিযোগে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ‘কর্নাটক রক্ষণ বেদিকে’ নামে সংগঠন। বুধবার হিংসাত্মক আকার নিল তাদের আন্দোলন। দোকান-বাজারে সাইনবোর্ডগুলিতে ‘৬০ শতাংশ কন্নড়’ ভাষায় লেখালেখির দাবি নিয়ে চলল দেদার ভাঙচুর। হলুদ এবং লাল রঙের উত্তরীয় গলায় দিয়ে আন্দোলনে নামা শয়ে শয়ে লোক একের পর এক ইংরেজি লেখা সাইনবোর্ড খুলে দেন। কোথাও ইংরেজি লেখা ফলক থাকলে তা উপড়ে দেওয়ার দৃশ্যও দেখা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ইংরেজি ভাষার আস্ফালনে কন্নড় ভাষা চাপা পড়ে যাচ্ছে ‘স্মার্ট সিটি’ বেঙ্গালুরুতে।
ওই আন্দোলনকারীদের মধ্যে কন্নড়ভাষী দোকানদারও রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীদের জন্য কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন তাঁরা। তার উপর কেউই কন্নড় ভাষায় কথা বলছেন না। স্থানীয় ভাষার মর্যাদাহানি হচ্ছে। ভাষার সম্মান রক্ষার্থে তাঁদের আন্দোলন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। দোকানে দোকানে সাইনবোর্ড খোলা এবং ভাঙচুর চলার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলগুলিতে পুলিশ যায়। বেশ কিছু ক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বস্তুত, ওই সংগঠনের আন্দোলনের জেরে প্রশাসনের তরফে কয়েক দিন আগে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়, শহরের দোকানগুলিতে যত সাইনবোর্ড আছে, তার ৬০ শতাংশ সাইনবোর্ডে কন্নড় ভাষায় লেখা থাকতে হবে। নাহলে সংশ্লিষ্ট দোকানদার বা ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।