প্রতীকী ছবি।
মেয়ের গায়ে পেট্রোল ঢেলে তাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করলেন মাতাল বাবা। শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলার রাজাভুড গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যোগেন্দ্র ওরফে বাবলু মদ খেয়ে পরিবারের সঙ্গে অশান্তি শুরু করেন। প্রথমে স্ত্রী-র সঙ্গে ঝগড়া করেন, তার পর মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন তিনি। গলায়, মুখে ও হাতে গুরুতর জখম নিয়ে ওই বালিকা আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে তার।
শনিবার যোগেন্দ্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একটি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। যোগেন্দ্রের পরিবার জানিয়েছে, মদ খেলেই অন্য মানুষ হয়ে যান যোগেন্দ্র। স্ত্রীকে মারধর, পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা কিছুই বাদ দেন না। তবে মাতাল হয়ে তিনি নিজের মেয়ের গায়ে আগুন লাগাতেও দ্বিধা করবেন না, এতটা ভাবতে পারেনি যোগেন্দ্রর পরিবার। কিন্তু শুক্রবার সেটাও হল।
যোগেন্দ্রর স্ত্রী জানিয়েছেন, ওই দিন রাতে মদ খেয়ে পরিবারের সঙ্গে প্রবল অশান্তি করেন যোগেন্দ্র। প্রচণ্ড রাগে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে প্রথমে তাঁর গায়েই আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে ৬ বছরের মেয়ের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন তিনি। যোগেন্দ্রর স্ত্রীর দাবি, মেয়ের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন তাঁরা। দ্রুত আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করে মেয়েকে স্থানীয় জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গলা, মুখ এবং হাতের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে ওই ৬ বছরের ওই শিশুকন্যার। শরীরের ২০ শতাংশ পুড়েছে। তাই মোরাদাবাদের যে হাসপাতালে উন্নত পরিষেবা রয়েছে, সেখানে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে তাকে।
অন্য একটি ঘটনায়, শনিবার চেন্নাইয়ে এক বেআইনি মদ বিক্রেতা নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতেই যাচ্ছিল। গ্রেফতারি এড়াতেই শাড়ি ছিঁড়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন মদ বিক্রেতা মহিলা। পুলিশ অবশ্য দ্রুত পদক্ষেপ করে। চটের বস্তা জড়িয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আগুন নিভিয়ে ফেলে তারা।