—প্রতীকী চিত্র।
মত্ত অবস্থায় স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাঁকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তিনি প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা করতেন। মত্ত অবস্থায় স্ত্রীর গায়ে হাতও তুলতেন বার বার। সম্প্রতি কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। তাতেই মাথা গরম করে স্ত্রীকে খুন করেন যুবক। পুত্রবধূকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই যুবকের মা-ও।
ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের চতরা জেলার সুরাহিবাগ গ্রামের। অভিযুক্ত যুবকের নাম কুলদীপ কুমার দাঙ্গি। তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন কুলদীপ। স্ত্রীর সঙ্গে তার পরেই ঝগড়াঝাঁটি শুরু হয়। স্ত্রীকে মারধরও করেন বলে অভিযোগ। এক সময় কেরোসিনের বোতল খুলে স্ত্রীর গায়ে তেল ছিটিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে ধরিয়ে দেন আগুনও।
মহিলার সারা শরীরে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় তাঁর। মহিলাকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর শাশুড়ি। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টে তাঁর গায়েও আগুন লেগে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধা বর্তমানে রাঁচীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। মৃতের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
ইটখোরি থানার স্টেশন ইন-চার্জ বিনোদ কুমার যাদব জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কী নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল, তা-ও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।