দমদমে লাইনচ্যুত লোকাল ট্রেন। —নিজস্ব চিত্র।
দমদমে স্টেশনে ঢোকার সময় লাইনচ্যুত হল ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকাল ট্রেন। দুর্ঘটনার ফলে কামরার মাঝের দিকের দুটো চাকা লাইন থেকে নেমে যায় বলে খবর। শনিবার ৯টা ৫২ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। ট্রেনের গতিবেগ কম থাকায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করছে রেল।
বস্তুত, গত পাঁচ দিনের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় বার এমন ঘটনা ঘটল দমদম স্টেশনে। এর আগে গত মঙ্গলবার দমদম স্টেশনে না ঢুকে মাঝের একটি লাইনে ঢুকে যায় শিয়ালদহগামী একটি লোকাল ট্রেন। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। কারণ, স্টেশনে না ঢোকার ফলে ট্রেনে ওঠা-নামা করতে পারেননি যাত্রীরা। ওই ভাবে মিনিট ২০ দাঁড়িয়েছিল লোকাল ট্রেনটি। সে বার রেলের যুক্তি ছিল, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, প্যানেলের সমস্যার কারণে এই ভোগান্তি হয়েছে।
কিন্তু, শনিবার যে ভাবে ট্রেনের দুটো চাকা লাইনচ্যুত হয়েছে, তাতে একটু গতি থাকলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। কয়েক মাস আগে বাহানাগার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরও কেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার সময় দমদমে ডাউন কল্যাণী-মাঝেরহাট লোকালের মাঝের দিকের একটি কামরার দু’টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। চালকের তৎপরতায় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন তিনি থামিয়ে দিয়েছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানেই ট্রেনটি ছিল। সকাল সাড়ে ১১টায় চাকা দু’টিকে ফের লাইনে তোলা সম্ভব হয়। ট্রেন চলাচল তার পর থেকে স্বাভাবিক হয়েছে।”
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ১১টা ৫০ মিনিটে ওই ট্রেনটিকে চালু করে কারশেডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।