— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ফের ইন্টারনেট-দুষ্কৃতীদের ফাঁদে পা দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৯ লক্ষ টাকা খোয়ালেন নয়ডার এক চিকিৎসক। ‘ডিজিটাল গ্রেপ্তারি’র ভয় দেখিয়ে ওই চিকিৎসককে অপরিচিত একটি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলা হয়। এর পরই ওই চিকিৎসক বুঝতে পারেন, প্রতারিত হয়েছেন তিনি। গত ১৩ জুলাই নয়ডায় ঘটনাটি ঘটেছে।
ওই চিকিৎসক, পূজা গোয়াল নয়ডা সেক্টর ৭৭ এর বাসিন্দা। গত ১৩ জুলাই অচেনা নম্বর থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। অপর প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে ভারতীয় টেলিফোন রেগুলেটরি অথরিটির আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দেয়। এর পর ফোনের ওপার থেকে ওই ডাক্তারকে জানানো হয়, অশ্লীল ভিডিয়ো (পর্ন ভিডিয়ো) প্রচারের জন্য তাঁর ফোনটি ব্যবহৃত হচ্ছে। পূজা প্রথমে এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও ভয় দেখিয়ে তাঁকে একটি ভিডিয়ো কলে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। হুমকি দেওয়া হয়, তিনি ‘ডিজিটাল গ্রেফতারি’-র আওতায় রয়েছেন এবং তদন্তে সহযোগিতা না করলে খারাপ পরিণতি হতে পারে। প্রায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে ক্রমাগত হুমকি দেওয়ার পর তাঁকে একটি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলা হয়। দুষ্কৃতীদের কথা মেনে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে ৫৯ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা পাঠান ওই চিকিৎসক। এর পরেই বুঝতে পারেন, প্রতারিত হয়েছেন তিনি।
২২ জুলাই নয়ডা সেক্টর ৩৬-এর সাইবার অপরাধ দমন শাখায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পূজা। অপরাধীদের ধরতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সাইবার ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার বিবেক রঞ্জন রাই জানিয়েছেন, পূজা যে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন, তার তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টের সাহায্যে দুষ্কৃতিদের খুঁজে বার করার চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।
বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই নিজেদের উচ্চ আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইন্টারনেট জালিয়াতরা। বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে জাল পরিচয়পত্রও বানাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে শুধু দিল্লি-নয়ডা অঞ্চলেই এ রকম দশটি প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সন্দেহজনক ফোন পেলেই সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া কেউ যদি ফোন করে নিজেকে উচ্চপদস্থ কর্তা বলে পরিচয় দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য বা ব্যাঙ্কের খুঁটিনাটি জানতে চায়, তা হলে অবিলম্বে স্থানীয় থানায় কিংবা সাইবার সেলে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।