চিকিৎসককে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ রোগীর বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
এক তরুণী চিকিৎসককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল রোগীর বিরুদ্ধে। যুবকের পায়ের ক্ষত সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন ওই চিকিৎসক। আচমকা তাঁর দিকে ছুরি হাতে তেড়ে যান যুবক। ছুরির আঘাতে চিকিৎসক গুরুতর জখম হন। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি কেরলের কোল্লম জেলার কোট্টারাকরা শহরের। নিহত চিকিৎসকের নাম বন্দনা দাস। তিনি কোট্টারাকরার একটি তালুক হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বুধবার সেখানে এক যুবককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে পুলিশ। অভিযোগ, ওই যুবক নিজের পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাতেই আহত হন। তাঁকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিশ। কিন্তু হাসপাতালে আরও ভয়ানক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের পায়ের ক্ষতে যখন ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছিলেন চিকিৎসক, তখন রোগী হঠাৎ ক্ষেপে ওঠেন। তিনি হাতের সামনে যা পান, তা দিয়েই সকলের দিকে তেড়ে যান। কাঁচি এবং শল্যচিকিৎসায় ব্যবহৃত ছুরি হাতে আক্রমণ করেন যুবক। ছুরির আঘাতে জখম হন চিকিৎসক। এক পুলিশকর্মীর দেহেও আঘাত লাগে।
ঘটনার পর সঙ্গে সঙ্গে তিরুঅনন্তপুরমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসককে। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
পুলিশের চোখের সামনে তাদেরই আনা রোগীকে দেখতে গিয়ে চিকিৎসককে যেভাবে প্রাণে মরতে হয়েছে, তাতে ক্ষুব্ধ অন্যরাও। চিকিৎসকের মৃত্যুর প্রতিবাদে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) ২৪ ঘণ্টার বনধ্ ডেকেছে।
চিকিৎসক খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হস্তক্ষেপ করেছে কেরল হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রণ এবং বিচারপতি কৌসের এদাপ্পাগাথের ডিভিশন বেঞ্চ ঘটনার আকস্মিকতায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এ বিষয়ে আলোচনা করবেন বিচারপতিরা।