প্রসূতির অস্ত্রোপচারে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
প্রসবের পর মহিলার পেটের ভিতরে তোয়ালে রেখে সেলাই করে দিলেন চিকিৎসক। চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। পেটে তোয়ালে রাখা অবস্থাতেই ওই মহিলাকে ৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। যন্ত্রণায় ছটফট করেন তিনি।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আমরোহার বাঁশখেরি গ্রামের। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম মাতলুব। অভিযোগ, তিনি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই গ্রামে হাসপাতাল চালাচ্ছিলেন। তাঁর হাসপাতালের নাম সইফি নার্সিংহোম। সেখানেই ভর্তি হয়েছিলেন প্রসূতি।
অস্ত্রোপচারের পর তোয়ালে পেটের ভিতরেই রেখে দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। প্রসবের পরেও মহিলার যন্ত্রণা কমেনি। হাসপাতালের কর্মীদের তা জানালে ওই হাসপাতালেই তাঁকে আরও ৫ দিন ভর্তি রেখে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসক তাঁর পরিবারকে জানিয়েছিলেন, ঠান্ডা লাগার কারণে মহিলার পেটে যন্ত্রণা করছে।
ওই অবস্থায় বাড়ি নিয়ে আসা হয় মহিলাকে। যন্ত্রণা না কমায় তাঁর স্বামী তাঁকে অন্য বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই রহস্য উদ্ঘাটিত হয়। দেখা যায়, পেটের ভিতর রয়ে গিয়েছে তোয়ালে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তা বার করেন চিকিৎসকরা।
চিফ মেডিক্যাল অফিসার রাজীব সিঙ্ঘল জানিয়েছেন, এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে আমি ঘটনার কথা জানতে পেরেছি। নোডাল অফিসারকে বিষয়টি দেখতে বলেছি। তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আর কিছু বলা যাচ্ছে না।’’
প্রসূতির পরিবারের তরফে রাজীবের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে। তবে থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তাঁরা।