কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। ফাইল চিত্র।
কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে কংগ্রেস। কিন্তু ভোটে জেতার পর কংগ্রেসের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। কে সেই চেয়ারে বসবেন, আগামী পাঁচ বছর কে কর্নাটক পরিচালনা করবেন, তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। এক দিকে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং অন্য দিকে রয়েছেন কর্নাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমার। দু’জনেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির যোগ্য দাবিদার। কাকে কুর্সিতে বসানো হবে, কে-ই বা বঞ্চিত হবেন, মঙ্গলবারই হয়তো সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে দল।
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। সোমবার সিদ্দা এবং শিবকুমার, দুই নেতাকেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। খড়্গে ছাড়াও সেই বৈঠকে ছিলেন রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মতো শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু সিদ্দা দিল্লি গেলেও সোমবার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লি যাননি শিবকুমার। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তিনি দিল্লি যাবেন।
সোমবার খড়্গের সঙ্গে সাক্ষাতের পর শিবকুমারের ভাই তথা রাজ্যের কংগ্রেস সাংসদ ডিকে সুরেশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার শিবকুমার দিল্লিতে যাবেন। সেখানে কর্নাটকের সরকার গঠনের বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের আলোচনার যোগ দেবেন তিনি। তাই মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবারই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে দিতে পারে কংগ্রেস।
সোমবার ছিল শিবকুমারের জন্মদিন। সিদ্দার সঙ্গে দিল্লি না গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড় থেকে তিনি পিছিয়ে গিয়েছেন বলে অনেকে মনে করেছিলেন। বিকেলে শিবকুমার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জল্পনা আরও উস্কে দেন। তিনি জানান, তাঁর নেতৃত্বেই কর্নাটকে কংগ্রেস জিতেছে। শিবকুমারের কথায়, ‘‘আমাদের দলের ১৩৫ জন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরাই আমার শক্তি।’’ সেই সঙ্গে ‘প্রতিদ্বন্দ্বীর’ উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘সিদ্দারামাইজিকে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’ ওই দিনই সন্ধ্যায় খড়্গের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করেন শিবকুমারের ভাই। তার পর মঙ্গলবার তাঁর দিল্লি যাওয়ার কথা জানান।
কর্নাটকে ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৩৫টি আসনে জিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে কংগ্রেস। আগামী বৃহস্পতিবার সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। তার আগেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে মুখ্যমন্ত্রী-জট কাটিয়ে উঠতে হবে।