বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ফাইল ছবি।
পরস্পরের সঙ্গে তাঁদের কোনও রকম যোগাযোগ নেই বলে সোমবার দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত ‘মিডলম্যান’ বা দালাল প্রসন্ন রায় এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রসন্নের কাছ থেকে দিলীপের ফ্ল্যাটের দলিল উদ্ধার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে জলও ঘোলা হয় বিস্তর। প্রসন্ন এ দিন আদালতের পথে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওটি আসল দলিল নয়। দলিলের প্রতিলিপি (সার্টিফায়েড কপি)। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। কোনও আর্থিক লেনদেন হয়নি।’’
‘গ্রুপ ডি’ বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় প্রসন্নকে এ দিন সিবিআই হেফাজত থেকে আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। প্রসন্নের বক্তব্য, দিলীপ তাঁর নিজের ফ্ল্যাটের বিদ্যুৎ-সংযোগ ও মিউটেশন বা নামপত্তনের জন্য দলিলের প্রতিলিপি একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়েছিলেন। তিনি ওই দলিল পেয়েছিলেন সেই সংস্থার কাছ থেকেই।
এই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস দাবি তুলেছিল, সিবিআই দিলীপকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। দিলীপের দাবি ছিল, প্রসন্নের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নেই। প্রসন্নের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মামলায় আমার মক্কেল ২৫৮ দিন জেলে ছিলেন। তার পরে গ্রুপ ডি-র মামলায় সিবিআই তাঁকে চার দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছিল।’’ দিনের শুনানি শেষে বিচারক ২৫ মে পর্যন্ত প্রসন্নকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রের খবর।
দিলীপ এ দিন ঝাড়গ্রামে বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কের টাকায় ফ্ল্যাট কিনেছি। ব্যাঙ্কের কাছে আসল দলিল আছে। যে-ভদ্রলোক ওই ফ্ল্যাটের মালিক ছিলেন, মিটারে তাঁর নাম পরিবর্তন করতে হবে। তাই ওনারশিপের ডকুমেন্ট (মালিকানার তথ্য) দিতে হবে। আমি তার একটা ফোটোকপি প্রসন্ন রায়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম। শুধু এটুকুই। আমি ওঁকে চিনি না। জানি না। তৃণমূল কংগ্রেস অনেক চক্রান্ত করছে। সেই চক্রান্তের জবাব যথাসময়ে পেয়ে যাবে।’’