লোকসভায় ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল পেশ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। —ফাইল চিত্র।
বিরোধীদের আপত্তির মধ্যেই লোকসভায় ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল পেশ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ডিজিটাল দুনিয়ায় আমজনতার তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখা ও তা সুরক্ষিতরাখতে আইন তৈরি করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের অন্দরমহলে আলোচনা চলছে। কারও তথ্য তাঁর অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ যাতে ব্যবহার করতে না পারে, সেই তথ্য সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।
আজ কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব লোকসভায় বিল পেশের পরে বিরোধীরা তা নিয়ে আপত্তি তোলেন। তাঁদের মূল দাবি ছিল, বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হোক। এর আগে সরকারের প্রথম বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছিল। কমিটির
সুপারিশের পরে বিলটি সংসদ থেকে প্রত্যাহার করে নতুন বিল আনা হয়েছে। বিরোধীরা দাবি তোলেন, পুরনো বিলের সঙ্গে নতুন বিলের অনেক ফারাক। ফলে তা নিয়ে সংসদীয়
কমিটিতে আলোচনা প্রয়োজন।
বিরোধীদের মূল অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থাগুলির আমজনতার গোপন তথ্য ব্যবহারে বিধিনিষেধ জারি করা হলেও সরকারের যে কোনও সংস্থার তা ব্যবহারে ছাড় দেওয়ার যথেচ্ছ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তথ্যের গোপনীয়তার নামে তথ্যের অধিকার আইন লঘু করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। বিলে একটি তথ্য সুরক্ষা পর্ষদ তৈরির কথা বলা হয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন হলে পর্ষদ তার বিচার করবে। বিরোধীদের অভিযোগ, পর্ষদে কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরাই থাকবে। কারও তথ্য ফাঁস হলে তার কিছুই করার নেই। কর্পোরেট সংস্থাগুলোরও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পদক্ষেপের দায়বদ্ধতা নেই। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, এই বিল তথ্যের অধিকার আইনকে পিষে ফেলার চক্রান্ত। তা সত্ত্বেও স্পিকার ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে বিল পেশের অনুমতি দিলে বিরোধীরা লোকসভা থেকে ওয়াক-আউট করেন।