ভারত সীমান্তে চিনের প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ, দাবি আমেরিকার। — ফাইল ছবি।
ভারত সীমান্তে চিন যে সমস্ত পদক্ষেপ করছে তাকে প্ররোচনামূলক বলে অভিহিত করলেন হোয়াইট হাউস কর্তা তথা আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট কার্ট ক্যাম্পবেল। পাশাপাশি নয়াদিল্লিকে তাঁর বার্তা, ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করাই আমেরিকার ভবিতব্য।
ওয়াশিংটনস্থিত একটি ‘থিঙ্কট্যাঙ্ক’-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় এ কথা বলেন কার্ট। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আমেরিকার হয়ে সমন্বয় সাধনের কাজও করে থাকেন কার্ট। ফলে এই অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও তিনি যথেষ্টই ওয়াকিবহাল। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে চিন প্রসঙ্গে কার্টের খোলাখুলি ভারতের পাশে দাঁড়ানো তাৎপর্যপূর্ণ।
কার্টের দাবি, ভারত-চিন সীমান্তে বেজিং যে পদক্ষেপ করছে তা প্ররোচনামূলক। যে থিঙ্কট্যাঙ্কের সঙ্গে আলাপচারিতা সেই ‘সেন্টার ফর আ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি’ (সিএনএএস) তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, ভারত-চিনের মধ্যে সীমান্ত বিবাদ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে চিনের দিক থেকে আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ পুরোদস্তুর যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিতে পারে। অনেকটা একই মত পোষণ করেন কার্টও।
বৃহস্পতিবার ওই অনুষ্ঠানে কার্ট জানান, আমেরিকার জোটসঙ্গী নয় ভারত। আগামিদিনেও তা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, ‘‘এর অর্থ এটা নয় যে আমরা ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করব না বা বিভিন্ন তথ্য নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেব না। এ ভাবেই বিশ্বমঞ্চে ভারত যে ভূমিকা আগামিদিনে পালন করতে চলেছে, সে সম্পর্কে অবহিত হতে হবে।’’ ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কার্ট আরও বলেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, আমাদের দু’দেশের আরও ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করাই ভবিতব্য। আমি জানি, দুই দেশের মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কতটা গভীর। আগামিদিনে তা আরও গভীর করাই আমাদের দুই দেশের লক্ষ্য হওয়া উচিত।’’ ভারতকে একুশ শতকে আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী হিসাবেও বর্ণনা করেছেন কার্ট।