শুক্রবারের রায়দানে সন্তুষ্ট নাবালিকার বাবা। প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলের নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনে দোষী সাব্যস্ত দুই শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত। শুক্রবার আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের রায়ে দু’জনকেই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও দিতে হবে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাবাসের সাজা কাটাতে হবে তাঁদের।
২০১৭ সালের নভেম্বরে স্কুলের ভিতর এক ৪ বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় বুধবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন শারীরশিক্ষার শিক্ষক অভিষেক রায় এবং মহম্মদ মফিজুদ্দিন। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলায় শুক্রবার সাজা ঘোষণা করেন পকসো আদালতের বিচারক মানসরঞ্জন সান্যাল। প্রায় সাড়ে ৫ বছর আগেকার ওই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে রায়দানের সময় বিচারকের নির্দেশ, কারাবাস এবং জরিমানা ছাড়াও শিশুটিকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দিতে হবে।
শুক্রবার রায়দানের পর আদালতকক্ষের বাইরে বেরিয়ে মফিজুদ্দিনের আইনজীবী আবু বকর ঢালি বলেন, ‘‘দু’জন দোষীকেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(ডি) ধারা এবং পকসো আইনে ৬ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড-সহ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পকসো আদালত। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাবাস হবে। এ ছাড়া, শিশুটিকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায়ও দিয়েছে আদালত।’’ শুক্রবারের রায়দানে সন্তুষ্ট নাবালিকার বাবা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওঁদের (দোষীদের) কারাদণ্ডের সাজার থেকেও আমি বেশি খুশি যে আজ আমার মেয়ে সুবিচার পেল। মেয়ে যে সুস্থ ভাবে বেঁচে রয়েছে, সেটাই আমার কাছে অনেক বড় পাওনা।’’