দিল্লি মেট্রোর এক কর্মীর ঝুলন্ত দেহ-সহ মোট ৩টি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
স্ত্রী এবং শিশুকন্যাকে ছুরি মেরে খুনের পর নিজেকেও শেষ করার চেষ্টায় ছিলেন। সে সময়ই অফিসের এক সহকর্মীর ফোন এসেছিল। তাঁর কাছে কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বীকার করেন, বাড়ির সকলকে মেরে ফেলেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দিল্লি মেট্রোর এক কর্মীর ঝুলন্ত দেহ-সহ মোট ৩টি দেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কাছে এমনই জানিয়েছেন দিল্লির শাহদরা জেলার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লি মেট্রোর পূর্ব বিনোদনগরের ডিপোয় সুপারভাইজ়ার পদে কর্মরত ছিলেন সুশীল কুমার (৪৫)। মঙ্গলবার তাঁর এক সহকর্মীর থেকে খবর পেয়ে পূর্ব দিল্লির শাহদরা জেলার জ্যোতি কলোনি এলাকায় সুশীলের বা়ড়িতে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা। তাঁর ঘর থেকে সুশীলের ঝুলন্ত দেহের পাশাপাশি স্ত্রী অনুরাধা (৪০) এবং ৪ বছরের মেয়ে অদিতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় পড়েছিল দম্পতির ১৩ বছরের ছেলে যুবরাজ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে সুশীলের বাড়িতে প্রমাণ সংগ্রহে নেমেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল।
শাহদরা জেলার পুলিশ কমিশনার রোহিত মীনা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে সুশীলকে অফিসে না দেখে তাঁকে ফোন করেছিলেন এক সহকর্মী। সে সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে সুশীল বলেন, ‘‘সবাইকে মেরে ফেলেছি আমি।’’ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন ওই সহকর্মী। ওই পুলিশকর্তা আরও জানিয়েছেন, স্ত্রী-সন্তানদের ছুরির আঘাত করে অনলাইনে ফাঁস দেওয়ার পদ্ধতি জানার চেষ্টা করেছিলেন সুশীল। রাজধানীতে জোড়া খুনের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।