আবগারি মামলায় চাপ বাড়তে পারে কেজরীওয়ালের উপর। ফাইল চিত্র।
অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকারের মদ নীতিতে অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে নেমে দুই ওষুধ প্রস্তুকারী সংস্থার কর্তাকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, প্রথম ধৃতের নাম শরত রেড্ডি। তিনি অরবিন্দ ফার্মা নামে একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
দিল্লিতে অবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত ওই মামলায় বৃহস্পতিবার মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা পেরনোড রিকার্ডের আধিকারিক বিনয় বাবুকেও গ্রেফতার করে ইডি।। ২০২১ সালের নভেম্বরে নতুন আবগারি নীতি আনে দিল্লি সরকার। মদ কেনার পাশাপাশি বিক্রির পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আনা হয়। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়। কেজরীওয়াল সরকার চেয়েছিল, নতুন করে ৮৪৯টি মদের দোকান খোলা হবে। রাজধানীর ৩২টি অঞ্চলে এই মদের দোকান খোলার পরিকল্পনা ছিল।
নতুন আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়বে বলে দাবি করেছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারি দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। কিন্তু সেই নীতি কার্যকর করতে আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ফলে নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক ৮ মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। বলা হয়, নতুন নীতিতে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে।
তারই মধ্যে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা সরকারের নতুন নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন। আবগারি দুর্নীতি মামলায় মামলায় গত সেপ্টেম্বরে সিসৌদিয়ার ‘ঘনিষ্ঠ’ বিজয় নায়ারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। আবাগারি দুর্নীতি মামলা বেআইনি আর্থিক লেনদেনদের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা সমীর মহেন্দ্রকে। সিসৌদিয়ার বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। যদিও গোড়া থেকেই কেজরীওয়াল এবং তাঁর সহযোগীরা দাবি করে এসেছেন, আবগারি কেলেঙ্কারি বলে যে ঘটনা নিয়ে ‘গুজব’ ছড়াচ্ছে বিজেপি, তাতে আসলে কোনও দুর্নীতিই হয়নি।