খেরসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিল রুশ ফৌজ। ছবি: সংগৃহীত।
ইউক্রেন সেনার ধারাবাহিক হামলার মুখে খেরসন থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিল রাশিয়া! সামরিক অবস্থানগত দিক ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ ওই শহর ছাড়ার কারণ হিসাবে অবশ্য ‘শীতে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার’ যুক্তি দিয়েছে মস্কো। বুধবার রুশ সেনার জেনারেল সের্গের সুরভিকিন বলেছেন, ‘‘আপাতত আমরা ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে সরে আসছি।’’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের ঘোষণা পর তাঁর বাহিনীর হাতে প্রথম এসেছিল দক্ষিণ ইউক্রেনের এই প্রাদেশিক রাজধানী-সহ গোটা খেরসন প্রদেশ। কিন্তু গত ১০ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির অনুগত বাহিনীর প্রত্যাঘাতে খেরসনের বিস্তীর্ণ এলাকা রুশ ফৌজের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল।
সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়) ইউক্রেন সেনার অগ্রগতি ঠেকাতেই ওই এলাকায় সেনা জমায়েত শুরু করতে চাইছে মস্কো। সেই লক্ষ্যেই খেরসন থেকে সেনা সরানো হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, মাস খানেক আগেই ডনবাস এবং জ়াপোরিজায়ার পাশাপাশি খেরসনের ‘গণভোটের’ আয়োজন করে ওই এলাকাকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা করেছিলেন পুতিন।
কিভ এবং পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইউক্রেন সেনার প্রত্যাঘাতে পূর্বের ডনবাস, দক্ষিণের খেরসন থেকে উত্তর-পশ্চিমের খারকিভ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকায় হামলাকারী রুশ ফৌজ এখন আত্মরক্ষার জন্য পিছু হটতে ব্যস্ত। পাশাপাশি, পুতিনের ডাকে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে ভয়ে দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন রুশ যুবকদের একাংশ। জোর করে যুদ্ধে পাঠানো হতে পারে আশঙ্কাতেই, তাঁদের এই দেশ ছাড়ার হিড়িক। এই পরিস্থিতিতে সেনা-সঙ্কটও রুশ ফৌজের খেরসন ছাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।