খসড়া ভোটার তালিকায় বেশ কিছু ভূতুড়ে ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বুধবার ২০২৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হল। ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ সেই খসড়া ভোটার তালিকায় গত বছরের তুলনায় এ রাজ্যে ১২ হাজারের বেশি ভোটার সংখ্যা কমে গেল।
কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নতুন ভোটারের নাম সংযোজন এবং মৃতদের নাম বাদ দেওয়ায় পাশাপাশি ছাঁটাই হয়েছে বেশ কিছু ভূতুড়ে ভোটারের নামও। সে কারণেই মোট ভোটারের সংখ্যা কমেছে। কমিশন জানাচ্ছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী এ রাজ্যের ভোটার সংখ্যা ছিল ৭ কোটি ৪৩ লক্ষ ৮১০। ২০২৩ সালের জন্য তৈরি খসড়া তালিকায় ১২ হাজার ৫৭৭ কমে হয়েছে ৭ কোটি ৪২ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৩৩।
গত সপ্তাহে রাজ্যের মুখ্যনির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব তাঁর দফতরে সর্বদল বৈঠক ডাকেন। সেখানে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে সরব হয়েছিল। ফলে কমিশনের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর অনেকেই মনে করছেন তবে কি ভূতুড়ে ভোটারের সংখ্যা বাদ যাওয়াই এর পিছনে কারণ। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে আগামী ৫ জানুয়ারি।
ভোটার সংখ্যা কমলেও রাজ্যে বুথের সংখ্যা এ বার বেড়েছে। আগে রাজ্যে মোট বুথ ছিল ৭৯ হাজার ৪০২। এখন বেড়ে হয়েছে ৭৯ হাজার ৫০১। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় রাজ্যে মোট ৭ কোটি ৩২ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৬৭ জন ভোটারের নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় তা বেড়ে দাঁডি়য়েছিল ৭ কোটি ৪৩ লক্ষ ৮১০-এ।
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তালিকা সংশোধনের কাজ চলবে। প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজনের পরে প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। প্রায় এক মাস জুড়ে এই কাজ তদারকি করার জন্য বুথ পর্যায়ের আধিকারিক নিয়োগের কাজও শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এক নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সিইও-র সঙ্গেও রাজ্য সরকারের আলোচনা হয়েছে। তার পরেই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে ‘বুথ লেভেল অফিসার কাম ডেজিগনেটেড অফিসার’ নিয়োগ করার কাজ শুরু করে রাজ্য। এঁরাই নতুন ভোটারদের সংযোজন করা থেকে শুরু করে ভোটারদের ঠিকানা বদল ও মৃতদের ভোটার কার্ড বাতিল করার কাজ করবেন।