(বাঁ দিক থেকে) অরবিন্দ কেজরীওয়াল, কে কবিতা এবং মণীশ সিসৌদিয়া। — ফাইল চিত্র।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র নেত্রী কে কবিতা আপাতত তিহাড় জেলেই থাকবেন। তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ বৃহস্পতিবার বাড়িয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।
জেল হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে এই মামলায় ধৃত দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ)-র নেতা মণীশ সিসৌদিয়ারও। বিচারক কাবেরী বাওয়েজা বৃহস্পতিবার আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের ইডি মামলায় কেজরীকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য দিকে, এই দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছেন ৮ অগস্ট পর্যন্ত।
ইডি মামলায় সিসৌদিয়ার জেল হেফাজতের মেয়াদও ৩১ জুলাই পর্যন্ত বেড়েছে। প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফলে দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যাঁকে পদে থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয়। এর পর লোকসভা ভোটের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন আবার তিহাড় জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন কেজরী।
গত ২০ জুন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত কেজরীর স্থায়ী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। ইডির তরফে বৃহস্পতিবার কেজরীর জামিন ৪৮ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হলেও বিচারক ন্যায় বিন্দু এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিল ওই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আবগারি দুর্নীতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন বলেও হাই কোর্টকে জানায় ইডি।
কিন্তু গত ২৫ জুন ইডির আবেদন মেনে বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চ কেজরীর সেই জামিন খারিজ করে দেয়। ২৫ জুনই রাতে তিহাড়ে গিয়ে কেজরীকে জেরা করে সিবিআই। পরের দিন তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। তার পর আদালত থেকেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তিন দিনের সিবিআই হেফাজত শেষে সিবিআইয়ের মামলায় জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সেই মেয়াদ আরও বাড়ল বৃহস্পতিবার।