যমুনা নদীর জলে দূষণ নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ছবি পিটিআই।
যমুনা নদীর জল সাফ করতে অতিরিক্ত ১০২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করল দিল্লি সরকার। বৃহস্পতিবার এই পরিমাণ অর্থের অনুমোদন করা হয়েছে দিল্লি বিধানসভায়। যমুনার জল পরিষ্কারের জন্য এই অর্থ দেওয়া হয়েছে দিল্লি দল বোর্ডকে। যমুনার জল সাফাইয়ের কাজে উপরাজ্যপাল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছে আপ সরকার। পাল্টা সরব হয়েছে রাজভবনও।
যমুনার জলে দূষণ নিয়ে দিল্লির রাজনীতি সরগরম। গত বুধবার এ নিয়ে দিল্লি বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা রামবীর সিংহ বিধুরী অভিযোগ করেছেন, যমুনা নদী সাফাইয়ের কাজের জন্য আপ সরকারকে ২৫০০ কোটি টাকা দিয়েছিল মোদী সরকার। সেই টাকা কোথায় গেল, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। গত ৮ বছরে আপ সরকারের আমলে যমুনার জল ২০০ শতাংশ দূষিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা।
যমুনার জল সাফাইয়ের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। বলেছেন, ‘‘আধিকারিকদের উপর চাপ তৈরি করে যমুনা নদী সাফাইয়ের কাজ রদ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন উপরাজ্যপাল। আগেও কাজ বন্ধের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় এখন অনুদান আটকে দিচ্ছে। তবে যমুনার সাফাইয়ের কাজ চলবেই।’’
আগামী নির্বাচনের আগে যে ভাবেই হোক যমুনার জল সাফ করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাই এই কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্রুত শেষ করতে দিল্লি জল বোর্ডকে ১০২৮ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিসৌদিয়া। সাফাইয়ের কাজ নিজে সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন কেজরিওয়াল।
কাজে হস্তক্ষেপ নিয়ে উপরাজ্যপালের সঙ্গে দিল্লি সরকারের সংঘাত চলছেই। এই আবহে এ বার যমুনার জল সাফাই করার কাজ নিয়ে উপরাজ্যপালকে নিশানা করল আপ সরকার। সিসৌদিয়ার মন্তব্যের পাল্টা সরব হয়েছে রাজভবন। উপমুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে রাজভবনের তরফে বলা হয়েছে, এই ধরনের মন্তব্য সর্বৈব মিথ্যা। সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে অভ্যাসবশত মিথ্যা কথা বলছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে দোষারোপ করছেন।