Abhishek Banerjee

অভিষেকের নাম করে পাঁচ লাখ চেয়ে পুরপ্রধানকে হুমকি! গ্রেফতার তিন, নাম জড়াল বিজেপি বিধায়কের

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম জুনায়েদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক এবং শেখ তসলিম। তিন জনই হুগলির বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তাঁদের এমএলএ হস্টেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১১
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

গত সেপ্টেম্বর মাসেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি (অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি)-র বিরুদ্ধে। এ বার একই রকম ভাবে অভিষেকের নাম করে তৃণমূলের এক পুরপ্রধানের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম জুনায়েদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক এবং শেখ তসলিম। তিন জনই হুগলির বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তাঁদের এমএলএ হস্টেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, এমএলএ হস্টেলের যে ঘরে তাঁরা ছিলেন, সেই ঘরটি কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জনের নামে ‘বুক’ করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। নিখিল বলেন, ‘‘হস্টেলের ঘর বুক করতে হয় বিধায়কের লেটারহেডে। আমি এ রকম কাউকে কোনও লেটারহেড দিইনি। হস্টেলের ঘর কী ভাবে বুক হল সেটা হস্টেল সুপার বলতে পারবেন। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত। তৃণমূল তো নিজেই তোলাবাজি করে। আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেকের নাম করে তোলা চেয়ে ফোন গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের কালনার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তের কাছে। অভিযোগ, কিছু ভুয়ো নথি দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ধাপে ধাপে টাকা চাওয়া হয়। পুরপ্রধান থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করতেই তদন্তে নামে পুলিশ। সেই মতো ফাঁদও পাতা হয়। বৃহস্পতিবার এমএলএ হস্টেলে অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পুরপ্রধান। সঙ্গে ছিলেন শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও। এর পর এমএলএ হস্টেল থেকেই তিন জনকে পাকড়াও করে পুলিশ।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে ফোন করছি বলে চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে ফোন করা হয়েছিল। টাকা চাওয়া হয়েছিল ওঁর কাছে। আমাকে এই ঘটনা জানানোর পরেই আমি যেতে বারণ করেছিলাম। তা সত্ত্বেও আনন্দ দত্ত গিয়েছিলেন। তবে পুলিশকে জানিয়েই গিয়েছিলেন। এর পর পুলিশই অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement