দিল্লিতে বাতাসে ধুলোর আধিক্যের কারণে দৃশ্যমানতা কমেছে। ফাইল চিত্র।
দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় তীব্র গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। বৃষ্টির দেখা নেই, উল্টে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। দিল্লিতে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে দৃশ্যমানতার জন্য।
সোমবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৌসম ভবন জানিয়েছে, আপাতত দু’দিনের জন্য রাজধানীর মানুষ এই তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে পারেন। মঙ্গলবার থেকে দু’দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজধানীতে। তবে তার পর থেকেই গরম আবার কাহিল করবে। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি আবার পেরিয়ে যাবে দিল্লির পারদ।
মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী, রাজস্থানের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। সেই কারণেই দিল্লিতে আগামী দু’দিন সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই সঙ্গে ধুলোর ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজধানীতে। বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণ এতই বেড়ে গিয়েছে যে, কমে যাচ্ছে দৃশ্যমানতাও। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর ৬টা থেকেই শহরের বাতাসে ধুলোর আধিক্য দেখা যায়। বিমানবন্দরের সামনে দৃশ্যমানতা ১১০০ মিটারে নেমে গিয়েছে। ফলে বিমান চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।
দিল্লির বাতাসে ধুলোর আধিক্যের জন্য রাজস্থানের উপরে ঘূর্ণাবর্তকেই দায়ী করা হচ্ছে। ওই ঘূর্ণাবর্তের জন্য হালকা বৃষ্টি হতে পারে রাজস্থান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও।
ওড়িশাতে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেখানে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কিছু কিছু এলাকায়।
এ দিকে, মঙ্গলবার থেকে আগামী তিন দিন উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মৌসম ভবন। অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরামে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ১৯ মে পর্যন্ত অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে পূর্ব অরুণাচল এবং মেঘালয়ে। মৌসম ভবন আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশ, সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ি এলাকাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে।